দীপক শর্মা দীপু | মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
‘ছোট কাল থেকে আমার সখ ভ্রমণ। সবাইতো নানাভাবে দেশ ভ্রমণ করে। আমিও সবার মতো দুইবার দেশের দুইটি জেলা ভ্রমণ করি। এতে দেশ ভ্রমনের তৃষ্ণা মেটেনি। ইচ্ছা জাগল প্রতি বছর দেশ ভ্রমণ করবো। তবে সখ হলো দেশের পতাকা কাঁধে থাকতে হবে। দেশ ভ্রমণ করবো কিন্তু দেশের পতাকা থাকবেনা, তাই কি হয়! মনের এমন বাসনা পূরণ করতে লাল সবুজের পতাকা বহন করে দেশ ভ্রমণ করি। দেশের দায়িত্ব কাঁধে নিতে না পারলেও দেশের পতাকা কাঁধে নিয়েছি। এতে আমার তিনদিকে সুবিধা হয়। ভ্রমণ , দেশের জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেয়া, আর মানসিক প্রশান্তি পাওয়া।’ – এমন কথা গুলো বলেন মমতাজ উদ্দিন। তিনি রাজশাহী বিভাগের নঁওগা জেলার সাপাহার থানার বাসিন্দা।
জাতীয় পতাকার এই ফেরিওয়ালা এবার কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। কক্সবাজার শহরের জেলা পরিষদের সামনে লাল সবুজের পতাকা বহনকারি মমতাজ উদ্দিনের সাথে ১৭ ফেব্রুয়ারি কথা হয়। তাকে প্রশ্ন করা হয় পতাকা বিক্রি করে কত টাকা (এরপর পৃষ্ঠা-২ ঃ কলাম- ৩ )
ঘুরা যার সখ
লাভ হয় ও সংসারের খরচ চালানো যায় কিনা ? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ব্যবসার জন্য পতাকা বিক্রি করছিনা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য লাল সবুজ পতাকার ফেরিওয়ালা হয়েছি। দেশের পতাকা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায়, স্কুল কলেজে, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। স্বাধীন দেশের পতাকার লাল সবুজের রং ছড়িয়ে দিতে দেশব্যাপী ভ্রমণ। পতাকা বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তিনি আরো বলেন, আমি ছোট খাটো মানুষ দেশের জন্য কিছু করতে পারছিনা। দেশের নেতা-নেত্রী ও মন্ত্রীরা দেশের দায়িত্ব কাঁেধ নিয়েছেন। আমি দেশের দায়িত্ব কাঁেধ নিতে না পারলেও দেশের পতাকা বহন করার চেষ্টা করছি। তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি. মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় পতাকা নিয়ে ভ্রমণ করে। এটি তার পতাকা ভ্রমণ। দেশের বাড়িতে তার নিজের জমি রয়েছে। এসব জমি বর্গাচাষাদের দেয়া হয়েছে। কিছু জমি নিজে চাষ করেন। তবে ফেব্রুূয়ারি, মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে তিনি চাষাবাদ থেকে বিরত থেকে দেশ দেশান্তরে ঘুরে বেড়ান তিনি। তার প্রত্যাশা জাতীয় পতাকার মান অক্ষুন্ন রেখে সর্বস্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ।
Posted ১:২৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh