দেশবিদেশ রিপোর্ট | শনিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৮
বাংলাদেশ সফররত বিশ্বের ১০ টি দেশের ৫৫ জন সাংবাদিক এখন কক্সবাজারে। গতকাল শুক্রুবার তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক পরিদর্শন করেছেন। এসব পরিদর্শন করে গতরাতে কক্সবাজার উন্নয়ন মেলার মঞ্চে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেছেন-‘আমরা বিস্মিত হয়েছি বাংলাদেশ তার সীমিত সম্পদের মধ্যেও কিভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার মত এতবড় পর্বত সমান সমস্যা সামাল দিতে পেরেছে।’
ভারতের বাঙ্গালী এই খ্যাতিমান সাংবাদিক বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের তীরের মেরিন ড্রাইভ রোড আর সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করেও আমরা মুগ্ধ হয়েছি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের আহ্বানে এখানে এসেছি। সরকার গত ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশটিকে কোথায় নিয়েছে, কি উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছে সর্বোপরি রোহিঙ্গা সমস্যা সরেজমিন দেখে বিশ্ববাসীকে সঠিক তথ্য জানানোর জন্যই আমরা এসেছি। তিনি বলেন, আবার এটাও ঠিক যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভুল ভ্রান্তিও আমরা তুলে ধরব।
নয়াদিল্লীর ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী আরো বলেন, গেল বছরের ২৫ আগষ্ট পরবর্তী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হবার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসেই কক্সবাজারে এসেছিলাম। সেই সময় উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছিলাম। দেখেছিলাম-একটি ছোট্ট জায়গায় লাখ লাখ রোহিঙ্গার এক করুন দশা। সেই সময়ই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম-এই রোহিঙ্গা সমস্যা বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক বিপর্যয়। গৌতম লাহিড়ী আরো বলেন, গতকাল উখিয়ার সেই কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করতে গিয়ে অবাক হয়েছি। কিভাবে সম্ভব হল- মাত্র গত ৮ মাসের মধ্যে এমন সীমিত সম্পদের দেশ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোকে এমন গোছানো অবস্থায় দাঁড় করিয়ে দিতে-বলেন গোৗতম লাহিড়ী। এগার লাখেরও বেশী রোহিঙ্গাকে স্থান করে দেয়ায় কক্সবাজার জেলাবাসীকে ভারতীয় এই সাংবাদিক ধন্যবাদ জানান। মঞ্চে ইথিওপিয়া থেকে আসা একজন সাংবাদিকও বক্তৃতা করেন।
এর আগে মেলার মঞ্চে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বিদেশী সাংবাদিকদের স্বাগত জানান। বিদেশী সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং বর্তমানে ভারতের নিউ দিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমশিনের প্রেস মিনিষ্টার ফরিদ হোসেন। প্রসঙ্গত, সফররত সাংবাদিকরা হচ্ছেন ভারত, জাপান, ফিলিপিন, দক্ষিন কোরিয়া, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, তুরষ্ক, সৌদি আরব, ওমান ও কানাডার। ####
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh