দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই ২০১৮
জাতিসংঘের প্রচলিত ব্যবস্থার মধ্যে থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ যেকোনও সমাধানের জন্য এর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শনে গতকাল সোমবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তারা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন। সফরকালে অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ওই অনুরোধ জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পাঁচ দফা সম্বলিত একটি তালিকা জাতিসংঘ মহাসচিবকে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের আওতার মধ্যে থেকে একটি সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে আমরা বলেছি, মিয়ানমার যেন কফি আনান কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন করে–সে ব্যবস্থা নিতে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা তাদের একটি বার্তা দিয়েছি যে, মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ যা করেছে সে জন্য যেন আমাদের শাস্তি দেওয়া না হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ প্রধান শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। আমরা আশা করবো তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন এই সমস্যা সমাধানের জন্য।
গুতেরেস জাতিসংঘের একটি সদস্য দেশ মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া এবং তাদের নাগরিক অধিকার দেওয়ার জন্য তারা যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধে যারা জড়িত, তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা না পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না। রোহিঙ্গারা গত কয়েক দশক ধরে বৈষম্যের শিকার। দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা ছাড়া এই চক্র থেকে তারা বের হতে পারবে না। জাতিসংঘ মহাসচিবকে রোহিঙ্গা সংকটের চ্যালেঞ্জ এবং বাধাগুলো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাখাইনে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন রোহিঙ্গারা ফেরত যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের দৃশ্যমান উদ্যোগ আমরা দেখিনি। তারা গোটা প্রক্রিয়াকে প্রক্রিয়াগত জটিলতা দেখিয়ে পিছিয়ে দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সামরিক অভিযানের জন্য বাংলাদেশকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার এখনও রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি সন্ত্রাসী’ বা ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। তারা মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।
দেশবিদেশ /০৩ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh