শুক্রবার ১লা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ ২০টি হাটবাজার,নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া   |   শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধ ২০টি হাটবাজার,নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ২০টি অধিক অবৈধ হাটবাজার বসিয়ে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা রোহিঙ্গাদে দিয়ে এসব জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা নেই। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উখিয়ার থাইংখালী, জামতলী, বাঘঘোনা, হাকিমপাড়া, ময়নার ঘোনা, কুতুপালং লম্বাশিয়া, মধুর ছড়া, ইরানী পাহাড়, মক্কা মদিনা পাহাড়, মদিনার ঘোনা, বাশেঁর কেল্লা, টিভি রিলে কেন্দ্র, রাবার বাগান, বালুখালী, তেলিপাড়া, পানবাজার, পশ্চিম বালুখালী, তাজনিমারখোলা, শফিউল্লাহকাটা ক্যাম্পে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে তুলেছে ২০টির অধিক হাটবাজার। প্রতিটিবাজারে অনন্ত হাজারেরও অধিক দোকান বসিয়েছে। সম্পূর্ণ সরকারি বনভূমির জায়গায় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও জনপ্রতিনিধিরা রাতারাতি ফায়দা লুটার কু-উদ্দ্যেশে রোহিঙ্গাদের দিয়ে দোকান বসিয়ে হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। বাজার গুলোতে রয়েছে, মুদির দোকান, ফার্মেসি, কাঁচা তরি তরকারি, হোটেল, ট্রি স্টোল, গ্যাস স্টেপের দোকান, রকমারি স্টোর, মাছ ও মাংসের দোকান, কাপড়ের দোকান, মোবাইল বিক্রয়ের দোকান, জুয়েলার্সের দোকান ঔষুধের দোকান (ফার্মেসী)। যার একটিরও বৈধ ট্রেড লাইসেন্স ও কর্তৃপক্ষের ছাড় পত্র নেই।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসানো হাটবাজারে দোকান গুলোতে ব্যবসা পরিচালনা করছে রোহিঙ্গা মাঝি থেকে শুরু করে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। ওই বাজারের দোকান গুলোতে কোন বৈধ কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নেই। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ওই বাজারের দোকানদারেরা সবাই রেহিঙ্গা ব্যবসায়ী। এসব বাজার বসার কারনে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমন কি স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন থাইংখালী জামতলি বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন সওদাগরসহ অনেকে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা কিভাবে প্রশাসনের সামনে ক্যাম্পে বাজার বসিয়ে দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করছে তা আমার জানা নেই। শুধু তাই নয়, শত শত রোহিঙ্গা যুবক এনজিওতে চাকরি করছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মাঝে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরীর সুযোগ দিলে আগামীতে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়াবে। কারণ রোহিঙ্গারা এখানে এসব সুযোগ সুবিধা পেলে মিয়ানমারে ফেরত চাইবেনা। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে গড়ে উঠা দোকান ও বাজারের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে। উপরের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Comments

comments

Posted ১:২৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com