শনিবার ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্যবিধিই ভরসা

  |   সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

রোহিঙ্গাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্যবিধিই ভরসা

অনলাইনে ডেস্ক
রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে টিকার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, তাদের টিকা দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে জাতিসংঘের উপর?।আপাতত তারা স্বাস্থ্যবিধিতেই জোর দিচ্ছেন।
কক্সবাজারে ৩৫টি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের মধ্যে আটটিতে এখন পরিপূর্ণ লকডাউন চলছে। বাকি ক্যাম্পগুলোতে আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি। রোহিঙ্গাদের দেয়ার জন্য টিকার আবেদন জানানো হলেও এখনও তার কোন আভাস মেলেনি।
দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বসবাস কক্সবাজার ও ভাসানচরসহ ৩৫ টি ক্যাম্পে।শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৪৪ হাজার ৭২০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ২০ জন। তবে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়নি ভাসানচরে।
কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমস্বয়ক ডা. তোহা ভুঁইয়া জানান, এ পর্যন্ত ক্যাম্পে করোনায় ১৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে শনিবার মারা গেছেন একজন।
শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দোজা নয়ন বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের আটটি ক্যাম্প এখন হটস্পট। সেগুলো পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। শুধু খাদ্য এবং জ্বালানি ছাড়া আর কিছু প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বাকিগুলোতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কাউকে ক্যাম্পের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না।’’
এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইসসিআর)। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থার মুখপাত্র কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতির খবর দিতে পারেননি (এরপর পৃষ্ঠা-২ ঃ কলাম-২)
রোহিঙ্গাদের জন্য টিকার
বাংলাদেশের দায়িত্বরতরা।
শামসুদ্দোজা নয়ন জানান, তাদের পক্ষ থেকে কয়েক দফা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জন্য টিকার আবেদন করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন। ইউএনএইচসিআরের জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেলে তাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা কী।জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরতদের মধ্যে ৪০ বছরের ওপরে রয়েছেন এক লাখ ৮০ হাজার জন। ১৮ বছরের উপরে আছেন প্রায় সাত লাখ? সেই হিসাবে সবাইকে টিকা দিতে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ ডোজ প্রয়োজন।
সমস্যা হলো, ভারত সরবরাহ বন্ধ রাখায় বাংলাদেশ নিজেদের নাগরিকদের টিকা দেয়া নিয়েই সংকটে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র তিন ভাগ টিকা পেয়েছেন। অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার বিতরণকৃত মোট ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৫ ডোজের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জন। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় প্রথম ডোজ টিকা নেয়া সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাচেছ না।
চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া পাঁচ লাখ টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তবে সেই টিকার অগ্রাধিকারে আছে বাংলাদেশে চীনা নাগরিক, চীনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। চীন ও রাশিয়ার সাথে চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে? এর মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা কিভাবে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব কিছু জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হয়? জাতিসংঘ ভ্যাকসিন দিলে রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’’
বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশের তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখান থেকে মিলেছে বায়োএনটেক-ফাইজারের মাত্র এক লাখ ৬২০ ডোজ। আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই টিকা দেয়া শুরু হবে।বাংলাদেশের নাগরিক যারা আগেই নিবন্ধন করেছেন তারা এই টিকা পাবেন।
এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য শিগগিরই টিকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আপাতত তাই ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের উপর ভরসা করছে সরকার।
ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তাদের বিনামূল্যে মাস্ক দেয়া হচ্ছে, হ্যান্ড স্যনিটাইজরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Comments

comments

Posted ৩:০৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ জুন ২০২১

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com