দেশবিদেশ রিপোর্ট | বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
রামু উপজেলার বাইপাস সড়কে সোমবার রাতের দেশীয় তৈরী বোমা বিষ্ফোরণের (ককটেল) ঘটনায় রামু থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপি’র রামু উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ পুর্বক ৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নানা সন্দেহ থাকলেও এজাহারে অবশ্য ১৬ আসামীর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা-কর্মীর নাম নেই।
রামু থানার উপ পরিদর্শক মংছাই মার্মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে রামু উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেরাজ আহমদ চৌধুরী মাহিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবদুল্লাহ আলম মামুন।
আসামীদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন যথাক্রমে স্থানীয় বিএনপি নেতা দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার বলী, কামাল উদ্দিন মেম্বার, মানোয়ার, সাহেদুজ্জামান বাহাদুর, শাহজাহান লুতু, আবছার কামাল, জিল্লুর রহমান, ফয়েজ উদ্দিন ফয়েজ, আবুল বশর বাবু, জিল্লুর চৌধুরী, কবির আহামদ, ফরিদুল আলম ও কলিমুল্লাহ।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, সোমবার গভীররাত ১১ টার দিকে রামু বাইপাস সড়কে যানবাহন ও জণসাধারণের ক্ষতিসাধন করে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করার অভিযোগ এনে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় রামু থানায় ২৪৩/২০১৮ নং মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের খবর প্রচার মাধ্যমে প্রচারের পর পরই সোমবার রাতে রামু বাইপাস সড়কে এমন ঘটনাটি ঘটে। প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামু বৌদ্ধ পল্লীতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে ১২ টি বৌদ্ধ মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ জড়িত নয়-
এদিকে রামুতে দেশীয় বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদে অনুপ্রবেশকারি সাবেক শিবির ক্যাডারের আনাগোনা সহ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহ উড়িয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সোমবার দিবাগত রাতে এ বিষয়ে গতকালের দেশবিদেশ পত্রিকার সংবাদ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কক্সবাজার জেলা সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন শুভ এবং রামু উপজেলা সভাপতি একরামুল হাসান জানিয়েছেন, তাদের সংগটনের কোন নেতা-কর্মী এধরণের ঘটনায় জড়িত থাকার কোন প্রশ্নই উঠে না।
Posted ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh