শওকত ইসলাম, রামু | শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
রামুতে গ্রাম আদালত ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে গ্রাম আদালত শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (৮ নভেম্বর) উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লুৎফুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ২য় পর্যায় প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটিটর ইউএনডিপি’র আখাই মং মার্মা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র ধর, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, ব্লাস্ট এর জেলা সমন্বয়কারি অলোক কুমার রায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা সমন্বয়কারি টিটু বড়–য়া।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, গ্রাম আদালত অল্প সময়ে, কম খরচে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এখানে দরিদ্র, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করা হয়। তাই গ্রাম আদালতকে শক্তিশালি করার জন্য সরকার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধিনে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাষ্ট) রামুতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় রামুর গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ, ঈদগড়, রশিদনগর ও খুনিয়াপালং ইউনিয়নে সেপ্টম্বর মাসের মধ্যে ৩১৫টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ৩টি। অপেক্ষমান মামলা রয়েছে ২৭টি। নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ৯ লাখ ৭২ হাজার ১৮০ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ছোট-খাটো ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিরোধ স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য গ্রাম আদালত উত্তম মাধ্যম। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকে গ্রাম আদালতের মর্যাদা দিয়ে এ বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করা হয়েছে।
Posted ১:২৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh