শুক্রবার ৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

রাখাইনে ফের সংঘর্ষ, অনেক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

রাখাইনে ফের সংঘর্ষ, অনেক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার প্রাণহানি

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ বেশ কিছু কর্মকর্তার প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রধানের কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাখাইনের বুথিডং ও রাথেডং এলাকায় আরাকান আর্মির সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কতজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে সেব্যাপারে ওই বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ করেনি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। তবে সেনাসদস্যরা চারজন আরাকান আর্মির সদস্যকে হত্যা এবং তাদের কাছ থেকে এম-২২ রাইফেল জব্দ করেছে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাটিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধ হিসেবে গত ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে তারা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনা করে।

সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মির কমপক্ষে ৮০ জন যোদ্ধা সেনাবাহিনীর ইউনিট বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করে। সংঘর্ষের সময় বিদ্রোহীরা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের এই প্রদেশে সেনাবাহিনীর কোন ইউনিট কাজ করে সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বিবৃতিতে। তবে বিবৃতিতে আরাকান আর্মির সদস্যদের ‘সশস্ত্র বিদ্রোহী’ বলে দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযোগ, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বরাবর যে সীমান্ত বাঁধ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা নির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে আরাকান আর্মি।

বিবৃতিতে আরাকান আর্মির হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, আরাকান আর্মির এমন মনোভাবের কারণে সীমান্ত অঞ্চলে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে।

গত ৪ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি এক ঘোষণায় জানায়, উত্তর বুথিডংয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ইউনিট (লাইট ইনফ্যান্ট্রি-৫৬৪) ঢুকে পড়ে। আরাকান আর্মির দাবি, সংঘর্ষের সময় মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যকে হত্যা করেছে তারা।

আরাকান আর্মি বলছে, খুব শিগগিরই তারা তাদের বিরোধীপক্ষের সেনাদের মৃতদেহ, আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম ও যুদ্ধক্ষেত্রের রেকর্ড প্রকাশ করবে।

সহিংসতাপূর্ণ রাখাইনে আরাকান আর্মির ঘাঁটিগুলো নিশ্চিহ্ন ও সেনা সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এই অঞ্চলে আরো সঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আরাকান আর্মি।

গত নভেম্বরের মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আরাকান আর্মি জানায়, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের ছিন প্রদেশের পেলেতোয়া এবং রাখাইনের পাহাড়ি এলাকায় আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে সশস্ত্র বাহিনীর এক কমান্ডার-সহ ২০ জনেরও বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়।

আরাকান আর্মির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা মিলিটারি লাইট ইনফ্যান্ট্রি ৩৭৩, ৫৩৯, ৫৩৫, ৩৮০, ৫৪২ ও ২৮৯ রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে গত অক্টোবর থেকে পেলেতোয়া ও বুথিডং শহরে বেশ কয়েকেটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।

Comments

comments

Posted ৯:১৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com