বার্তা পরিবেশক | বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 54 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
‘অগ্রযাত্রা’ নামে একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কক্সবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল হুদা চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অগ্রযাত্রা অনলাইন নামের একটি অনিবন্ধিত পোর্টাল আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করেছে। এতে আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, সম্প্রতি বাঁকখালী নদীতে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানের পর বদরমোকাম জামে মসজিদের খাদেম রবিউল হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রুমেল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। “এ ঘটনার জের ধরেই রুমেল আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে,” দাবি করেন তিনি।
রফিকুল হুদা বলেন, “সংবাদে আমাকে বিএনপি অফিস পুড়ানোর মামলার বাদী ও কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওই মামলার বাদী নই, এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততাও নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমার সন্তান আব্দুল্লাহ আল মুকিত চৌধুরী ২০১৬ সাল থেকে ইউনিয়ন হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে বিধি মোতাবেক তাকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর করা হয়। সেখানে আমার প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই আসে না।”
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, “অগ্রযাত্রা অনলাইন সংবাদে আমাকে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমানের ব্যবসায় জড়িত দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি ব্যবহার করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার ঘৃণ্য চেষ্টা চালানো হয়েছে।”
পৌর বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, “আমাকে ভূমিদস্যু হিসেবে উপস্থাপন করে সরকারি জায়গা দখলদার বানানোর অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু আমি কখনোই বাঁকখালী নদীর জায়গা দখল করিনি। আমার পৈতৃক জমিতেই আমি বসবাস করছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সামাজিক মর্যাদা ও চরিত্র সম্পর্কে কক্সবাজারবাসী অবগত। আমি সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং মসজিদের খাদেমের ওপর হামলাকারী রুমেলের গ্রেপ্তার দাবি করছি।”
বদর মোকাম মসজিদ পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা আদনান সাউদ বলেন, “উচ্ছেদকৃত মালামাল লুট করার উদ্দেশ্যে রুমেল লোকজন নিয়ে গেলে বদরমোকাম জামে মসজিদের কেয়ারটেকার বাধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুমেল তাকে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে।”
তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মামলা করা হলে উক্ত বখাটে ও উশৃঙ্খল রুমেল ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচা রফিকুল হুদা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও অর্থের বিনিময়ে সংবাদ পরিবেশন করায়। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
আদনান সাউদ দাবি করেন, রুমেলের অন্যায় ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তালিকা দীর্ঘ। তার চাচা রফিকুল হুদা চৌধুরী একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ তার বিরুদ্ধে কখনও কেউ চাঁদাবাজির অভিযোগ করেননি। কিন্তু রুমেল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে চাঁদাবাজ হিসেবে প্রচারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি প্রশাসনের কাছে রুমেলের এসব নৈতিকবহির্ভূত কার্যকলাপের সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবুল কাসেম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আবেদীন সবুজ, সদস্য গিয়াসউদ্দিন, মসউদুর রহমান মাসুদ, মুহাম্মদ ছুরত আলমসহ বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএন/জেইউ।
.
এ বিভাগের আরও খবর