দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
মানবপাচারের মামলায় কক্সবাজারের ১২ বছরের এক শিশুকে আট সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই শিশুর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জামান আক্তার বুলবুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
পরে আইনজীবী জামান আক্তার বুলবুল বলেন, ২০১৪ সালের ২১ জুন রাতে রামুর হাজিপাড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামকে (৪১) অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়। এরপর সেখানে কয়েকবছর চাকরি করার পর নুরুল ইসলাম অবৈধ অভিবাসী হওয়ায় প্রায় এক বছর জেল খেটে ২০১৮ সালে দেশে ফেরেন। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে জামিন পাওয়া ১২ বছরের শিশুসহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া শিশুটিকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়। অথচ শিশুটির বর্তমান বয়স ১২ বছর। ঘটনার সময় (২০১৪ সাল) যখন নুরুল ইসলামকে বিদেশ পাঠানো হয় তখন শিশুটির বয়স ছিল সাড়ে ৫ বছর। তাই শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শিশুটিকে জামিন দেন।
নুরুল ইসলামের দায়ের করা মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, বিনাখরচে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনের কাজ দেওয়ার কথা বলে ২০১৪ সালের ২১ জুন তাকে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর তাকে থাইল্যাণ্ডের উপকূলীয় পাহাড়ের জঙ্গলে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে দালালরা তাকে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। মোবাইলফোনে স্বজনদের কাছ থেকে অভিযুক্ত শিশুসহ মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি দুই লাখ টাকা নেন। পরবর্তী সময়ে আরও এক লাখ টাকা দিয়ে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান নুরুল ইসলাম। ২০১৭ সালের জুন মাসে মালয়েশিয়ায় আটক হন তিনি। এক বছর জেল খাটার পর তিনি দেশে ফেরত এসে মামলা করেন।
Posted ৭:৪০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh