দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮
ঢাকা মহানগরীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট রয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। সোমবার সকালে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এ জরিপের ফল তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিগত সেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বিগত এক দশক ধরে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে জনগণ তার সুফল পেতে শুরু করেছে। দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে আশংকার বিষয় হচ্ছে, আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ বর্তমানের কিশোর এবং তরুণরা কোনো পূর্বপ্রস্ততি ছাড়াই ইন্টারনেটের মতো ব্যাপক একটি জগতে প্রবেশ করছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা মহানগরী ও টঙ্গীর ১৬টি বিদ্যালয়ের ৫০০ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর জরিপ চালানো হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৮০ দশমিক ৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তাদের সংবাদ গ্রহণ করার মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ, ইউটিউব ২২দশমিক ৬ শতাংশ, সংবাদপত্র ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ, টেলিভিশন ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ, রেডিও ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, অনলাইন পোর্টাল ১৯ শতাংশ এবং অন্যের মুখ থেকে শোনা ৩৮দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শতকরা ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাউন্ট রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭২ ভাগ শিক্ষার্থীর ফেসবুক এবং ৪৭ দশমিক ৫ ভাগ শিক্ষার্থীর ইউটিউব একাউন্ট আছে।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা অবাধ তথ্য প্রবাহ ও গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশের প্রেক্ষিতে দেশের মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানানো হয়।
সাকমিড এর বোর্ড সদস্য নজর-ই-জিলানী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান। ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো, জাতীয় কারিকুলাম ও টেক্সট বুক বোর্ডের সদস্য (প্রাথমিক) প্রফেসর এ কে এম রেজাউল হাসান, ইউনেস্কোর এডুকেশন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুল ইসলাম প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।
Posted ৯:৫৭ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh