নিজস্ব প্রতিবেদক,মহেশখালী | সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ,কাজ পাইয়ে দেওয়া,স্থানীয় শ্রমিকদের হুমকীসহ হুন্দাই কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এতে জড়িয়ে পড়েছে খোদ কোম্পানীর অসাধু কিছু লোক ও স্থানীয় প্রভাবশালী এক সিন্ডিকেট। মোটা অংকের উৎকোচ না দিলে চাকুরী হয়না বলে অভিযোগ করেছে চাকুরী বঞ্চিত বেশ কজন স্থানীয় শ্রমিক। এমনকি খোদ ক্ষোভ প্রাকাশ করে ধলঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টাকার বিনিময়ে ধলঘাটার বেশ কজন শ্রমিককে নিয়োগ দিয়েছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হুন্দাই কোম্পানীতে কর্মরত নজরুল ও মাতারবাড়ীর একটি সিন্ডিকেট।
তিনি আরো বলেন বেশ কিছু শ্রমিককে তার কাছে চাকুরীর প্রত্যায়নের জন্য পাঠালেও নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে। কিন্তুু ঠিকই ওই শ্রমিককে টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেয়। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে উচ্ছেদকৃত ৪৫ পরিবারের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী বলেন, হুন্দাই কোম্পানীর এডমিন নজরুল শ্রমিকদের কাছ থেকে বেতনের একটি অংশ কমিশনের কথা বলে কেটে রাখে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি প্রদান করে। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শ্রমিকনেতা শওকত ইকবাল মুরাদ জানান, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অসাধু কর্মকর্তা ও দালাল সিন্ডিকেট বহিরাগত শ্রমিক থেকে বেশি কমিশন পাওয়ার লোভে কাজ করার যথেষ্ট সার্মথ্য থাকা সত্ত্বেও মাতারবাড়ীর নিয়োগ দিচ্ছে না।
কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা উৎকোচের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ অব্যহত রাখছে। এতে করে নিয়োগ বঞ্চিতদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে কোন ধরনের প্রতারণাকে সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এ শ্রমিকনেতা। প্রয়োজনে মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসুচী দিয়ে শ্রমিক নিয়োগে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে। মাতারবাড়ী এলাকার চাকুরী বঞ্চিত শ্রমিক মো.আমান,নুর মোহাম্মদ ও ওয়াসিমসহ নিয়োগ বঞ্চিতদের দাবী, কোম্পানীর অসাধু কিছু লোক ও স্থানীয় প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট ২০/২৫হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিচ্ছে। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এক হাজারের মত শ্রমিক কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত বেশকজন শ্রমিক জানান, হোন্দাইতে কর্মরত আরব আলীর মাধ্যমে নজরুল ইসলাম কম দামে মালামাল ক্রয় করে বেশি দামে বিল করে। শ্রমিকরা তাদের দাবীর বিষয়ে কথা বললে চাকুরীচ্যুত করার হুমকী ও মারধর করে। প্রায় নির্মান কোম্পানী থেকে কমিশন দিতে হয় তাদের। না হলে নানা হয়রানী করা হয়।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন,প্রায় আড়াইশ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হুন্দাই কোম্পানীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি শ্রমিক নিয়োগে জড়িত নন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নন বলে দাবী করেন।
দেশবিদেশ /২৩ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh