শহীদুল্লাহ্ কায়সার | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
বর্তমান সংসদ-সদস্য আশেক উল্লাহ্ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা নাকি পরিবেশ বিজ্ঞানি প্রফেসর ড. আনসারুল করিম। কাকে কক্সবাজার -২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন ? এ নিয়ে হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। গতকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ-সদস্য আশেক উল্লাহ্ রফিককে প্রার্থী করার বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসনে তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. আনসারুল করিমকে পেছনে ফেলে মনোনয়ন দৌঁড়ে বর্তমানে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। আর্থিক সঙ্গতি, পারিবারিক প্রভাবের বিষয় বিবেচনা করেই তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে। ঢাকা থেকে বিশ^স্ত সূত্র গতকাল বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে, এক্ষেত্রে তাঁর প্রতিবন্ধক হতে পারে জাতীয় পার্টি (জাপা)। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক এই রাজনৈতিক সংগঠন। ইতোমধ্যে জাপা’র পক্ষ থেকে কক্সবাজারের ১টি আসনে প্রার্থী দেয়ার দাবি উঠেছে। এ জন্য কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) এবং কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের মধ্যে যে কোন একটি চায় জাপা। সেই সমঝোতার অংশ হিসেবে কক্সবাজার-২ আসনটি ছেড়ে দেয়া হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। এমন দাবিই করলেন ওই সূত্র।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, “মাঠের জনপ্রিয় প্রার্থীকে আমাদের বেছে নিতে হবে।” একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন । মাঠ পর্যায়ে কার অবস্থা কেমন তা সকলেই জানেন। যদি বিজয়ী হওয়ার যোগ্যতা নেই এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে, পরাজিত হওয়া স্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ দিকে, গতকাল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীদের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে বলেন, সব ভেদাভেদ ভুল দল মনোনীত প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয়ী করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৪ টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন। অন্যদিকে পৌরসভাবিহীন ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠন করা হয় কুতুবদিয়া উপজেলা। দুই উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার ৮১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯’শ ৭২ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ১’শ ৯।
Posted ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh