বার্তা পরিবেশক | শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী ও চকোরিয়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিগত ২০০০ সালে কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্মারক নং ৬০১/৬৮২/৩৪ তারিখ ০৭/০৫/২০০০ ইং এর নিয়োগ আদেশমূলে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি কর্তৃক মহেশখালী উপজেলায় প্রথম ব্যাচে ১৪ জন সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২ মাস পর স্মারক নং ৬০১/১১৮৩/৮৫ তারিখ ০৬/০৭/২০০০ ইং মূলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে দ্বিতীয় ব্যাচে ১২ জন সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ ব্যাচ ও বয়সের ভিত্তিতে প্রথম ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সিনিয়রিটি বিবেচনা পূর্বক গ্রেডেশন তালিকা প্রনয়ণ করে সব উপজেলার তালিকা যথাসময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে দ্বিতীয় ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া অপর ৫ জন শিক্ষককে সিনিয়রিটি বিবেচনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরে শুধুমাত্র মহেশখালী উপজেলার আরেকটি তালিকা অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়। দুই ধরনের ২টি গ্রেডেশন তালিকা হওয়ায় এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলার প্রথম ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ৫ জন শিক্ষক বিগত ০৩/০৫/২০১৮ ইং কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এবং ০৩/০৬/২০১৮ ইং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর লিখিত আবেদন করেন। গত ১৩/০৯/২০১৮ ইং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে প্রথম ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সিনিয়রিটি গণ্য করে ০৬ উপজেলা যথাক্রমেঃ কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় চলতি দায়িত্বে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করা হয়। দুই ধরণের তালিকা হওয়ার কারণে মহেশখালী উপজেলা এবং অন্য একটি জটিলতার কারণ চকোরিয়া উপজেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। আবেদনকারী ৫ জন শিক্ষক চকেরিয়াসহ গেজেট হওয়া ০৬ উপজেলার শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যাচ ও বয়স ভিত্তিক যে নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে সে অনুযায়ী মহেশখালী উপজেলার চলতি দায়িত্ব প্রদানের জন্য দাবী জানিয়েছেন। অপরদিকে ১৯৯৯ সালে বা তার আগে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২ জন শিক্ষক সৃষ্ট জটিলতার সমাধান পূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে চলতি দায়িত্বের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Posted ৯:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh