দেশবিদেশ রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯
আতœসমর্পনের তিন মাসের মাথায় বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী উপকুলে আবারো জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে গেছে। রবিবার দিবাগত এক রাতেই মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে ৭ টি মাছধরার নৌকায় দস্যুতা সংঘটিত হয়েছে। জলদস্যু বাহিনীর গণডাকাতির শিকার হয়ে মহেশখালী দ্বীপের ২৪ জন জেলে আহত হয়েছে। গভীর সাগরে মাছ ধরে এদিন রাতে সাগর থেকে কুলে ফেরার পথে সোনাদিয়া চ্যানেলে ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় জেলেদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
মহেশখালী দ্বীপ উপজেলার মাছধরা নৌকার মালিক ও জেলেরা এ বিষয় নিয়ে গতকাল সোমবার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেছে। দস্যুতার শিকার মাছধরা নৌকাগুলো হচ্ছে দ্বীপের আবদুল মোনাফের মালিকানাধীন এফবি শাহেদ, মোহাম্মদ রফিকের মালিকানাধীন এফবি রাফিয়া মণি, ছালাউদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দান, রকিব উল্লাহর মালিকানাধীন এফবি ফয়সাল, নুরুল আলম মেম্বারের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া, সিরাজ উল্লাহর মালিকনাধীন এফবি আল্লাহর দান ও গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া। এসব নৌকার মালিকগন মহেশখালী পৌর এলাকার বাসিন্দা।
নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি জালাল আহমদ জানান, ওই দিন রাতে গভীর সাগরে মাছ ধরে কুলে ফিরার পথে সোনাদিয়ার দক্ষিণ পার্শ্বে মহেশখালী চ্যানেলে ২০/৩০ জন জলদস্যু বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকাগুলোর জেলেদের উপর। দস্যুরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে জেলেদের মারধর করে। এতে ২৪ জন জেলে আহত হয়। পরে দস্যুরা নৌকাগুলোর সবগুলো মাছ, জালসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি লুঠ করে নেয়।
এতে জেলেদের কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত গত ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদের কাছে মহেশখালী দ্বীপের ৬ টি জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন দস্যু আত্মসম্পর্ণ করেছিল। আতœসমর্পনের মাত্র তিন মাসের মাথায় দ্বীপের দস্যুরা নতুন করে সাগরে নেমেছে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, তিনি দস্যুতার বিষয়টি শুনেছেন।
Posted ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh