শুক্রবার ২রা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

মহেশখালীতে ঘর পেল ৫৫৭ গৃহহীন পরিবার,নির্মার্ণাধীন আরো ১৯৫টি

মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন,মহেশখালী   |   বুধবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মহেশখালীতে ঘর পেল ৫৫৭ গৃহহীন পরিবার,নির্মার্ণাধীন আরো ১৯৫টি

বিনে পয়সায় ঘর পেয়েছে মহেশখালী উপজেলার ৫৫৭ গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ ‘জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় তারা এসব ঘর পেয়েছে। আরো নির্মাণাধীন রয়েছে ১৯৫টি ঘর। তবে ১৯৫ টি ঘরের এখনো বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের আওতায় ঘর পাওয়া উপজেলার কুতুবজোমের খোরশেদা বেগম জানালেন- ঘর পাব তা কখনো ভাবিনি। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছি। এই ঘর পেয়ে আমার আনন্দের শেষ নেই। শুধু খোরশেদা বেগম নয়। ঘর পেয়েছেন মাতারবাড়ী মগডেইল গ্রামের রোকশানা। ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার তার। বাড়ি বাড়ি গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন মেয়ে। এতোদিন থাকতেন কুড়ে ঘরে। বাস্তবে ঘর পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় একখন্ড জমির ওপর সরকার ঘর বানিয়ে দিয়েছে। এতোদিন ভাঙ্গা একখান চালার নিচে ঘুমোতাম।

কখনও ভাবিনি আমার একখান পাকা ঘর হবে। একই ইউনিয়নের মোজাম্মেল চোখে মুখে এখন খুশির ঝিলিক ‘এখন আর বৃষ্টিতে ভিজে ঘুমাতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই ঘর স্মৃতি হয়ে থাকবে। তার মত বিনে পয়সার ঘর পেয়ে খুশি রোজিনা, সাকের আহমসহ অনেকে। ঘোনাপাড়ার রাহেনা বেগম বলেন জীবনে ভালো কোনো ঘরে ঘুমাতি পারিনি। বাকি জীবনটা অন্তত ভালো একটি ঘরে কাটাতি পারবো। পুটিবিলার বাঁকপ্রতিবন্ধি বাহাদুর মিয়া – পেশায় রিক্সাচালক। উপজেলা পরিষদ এলাকায় রিক্সা চালায় বলে স্বাভাবিকভাবেই সকলের নজরে পড়ে ৷ একদিন মাথা চুলকাতে চুলকাতে তার নিজস্ব ভাষায় (ইশারায়) মনের কথা ব্যাক্ত করলেন ৷ব্যাস , এতেই ভাগ্য দরজা খুলে গেলো তার! এক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে গেলো স্বপ্নের সেই বাড়ী ৷কুতুবজোমের ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, ঘর পেয়ে খুশি হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপকার ভোগীরা।

মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, নিয়ম মেনেই মানসম্মতভাবে এসব ঘর বানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন বলেও জানান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সফিউল আলম সাকিব বলেন- প্রধানমন্ত্রীম প্রতিশ্রুত যার জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলায় মানুষ ঘর পেয়ে অত্যান্ত খুশি। প্রথম ধাপে ২৫৭টি,২য় ধাপের ৪৯৫টির মধ্যে ৩০০টি ঘর উপকার ভোগীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ১৯৫টি ঘরের বরাদ্ধ না পেলেও ঘর তৈরী চলমান রয়েছে। এছাড়াও ৩য় ধাপের ৩৬০টি ঘর নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে ঘর পেয়েছে মহেশখালী পৌরসভায় ২২৫টি কুতুবজোম ইউনিয়নে ১৮২ টি, মাতারবাড়ীতে ১৮৬টি, কালারমারছড়া ৩২টি, হোয়ানক ১৩টি, বড় মহেশখালী ২৪টি ও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে ২০টি পরিবার। প্রতিটি ঘরের কাজে বরাদ্ধ হয়েছে এক লাখ টাকা। আরো ১৯৬ টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।

তবে ওই ঘরের বরাদ্ধ এখনো আসেনি। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, প্ল্যান ও ডিজাইন অনুযায়ী এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে যেনো কোনো ত্রুটি না থাকে নিয়মিত দেখভাল করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন আমরা সেটা বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। ৫৫৭টি ঘর হস্তনান্তর করা হয়েছে। বাকী ১৯৫টি ঘর নির্মাণ চলমান রয়েছে। মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মহেশখালীতে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে ৫৫৭ টি ঘর উপকারভোগীদের হস্তান্তর করা হয়েছে বাকিদের জন্য আরো ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

দেশবিদেশ /০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নেছার

Comments

comments

Posted ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com