সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও’র গরু বাজার দীর্ঘ দিনেও কোন সংস্কার নেই। যার কারনে এলোমেলো ভাবে মহাসড়কে গরু রাখা হচ্ছে। বাজারের অংশ বিশেষ মহাসড়কের পাশে গরুর বাজারটি কয়েক লক্ষাধিক টাকায় ইজারা দেয়া হলেও বাজারটি সংস্কার হয়নি এ পর্যন্ত। এতে জনগন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঈদগাঁওর গরু বাজারের নির্ধারিত কোন মাঠ না থাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে গরু রাখা হচ্ছে। এছাড়া অসুস্থ গরু বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে। গরু বাজারের কয়েক শ গজের মধ্যে প্রাণী সম্পদ বিভাগের অফিস থাকলেও তারা এ বিষয়ে নির্বিকার। অথচ গরু বাজারে আনা প্রত্যেকটি পশু ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেয়ার বিধান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে টাকার বিনিময়ে রোগাক্রান্ত গরুর ফিটনেস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঈদগাঁও গরু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর বাজারের জন্য নির্ধারিত কোন ফাঁকা মাঠ বা জায়গা নেই। ষ্টেশনের গ্রামীন ব্যাংক এলাকা থেকে আলমাছিয়া মাদ্রাসা গেইট পর্যন্ত মহাসড়কের উভয় পাশে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য গরু। এর ফলে শনি- মঙ্গলবার ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে যানবাহনের জট সৃষ্টি হচ্ছে বেশি। পথচারীদের চলাচল করতে নানা সমস্যাসহ দূর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, ঈদগাঁও’র গরু বাজার শনি-মঙ্গলবার সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। এ বাজারের জন্য রামু, রশিদ নগর, পানিরছড়া, ঈদগড়, বাইশারী, চৌফলদন্ডী, ভারুয়াখালী, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, খুটাখালী ও ডুলাহাজারার লোকজন শত শত গরু নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। শনি- মঙ্গলবার সপ্তাহিক বাজার বসলেও শুক্রবার-সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন এ এলাকায় যানজট লেগে থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদগাহ কলেজ মাঠে গরুর বাজারটি সরিয়ে নেয়া হলে জন দূর্ভোগ কমবে। তারা মহাসড়কে গরুর বাজারের কারনে ঈদগাঁও লাল ব্রীজ থেকে কলেজ গেইট নাসী ব্রীজ পর্যন্ত সর্ব সাধারনের চলাচলে দারুণ ভাবে ব্যহৃত হচ্ছে ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গরুর বাজারের পাশে রয়েছে ফিলিং ষ্টেশন, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, গ্রামীন ব্যাংক, ঈদগাহ কলেজ ও ছোটবড় গাড়ীর গেরেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা। সড়কের পাশে গরু রাখায় এলাকার সর্বসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঈদগাহ কলেজের শিক্ষকরা বলেন, মহাসড়কে গরু রাখায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। মহাসড়কে গরু রাখার যুক্তি তুলে ধরে গরু ব্যবসায়ী আমির হোছাইন বলেন, গরু বাজারের জন্য নির্ধারিত জায়গা নেই। এছাড়া মহাসড়কের পাশেও খোলা জায়গা নেই। তাই সড়কে গরু রেখেছি। ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনার গরু ব্যবসায়ী আলী আকবর বলেন, নির্ধারিত মাঠ বা জায়গা করে দিলে আমাদের মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়াতে হত না। তিনি আরো বলেন, প্রতি শনি-মঙ্গলবার বাজারের দিন পশু নিয়ে ছোট বড় দূর্ঘটনাও ঘটছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দের আইসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, গরুর বাজার ইজারাদাররা গরু মহাসড়কে রেখেছে। তারা রাখলে আমাদের কি করার আছে।
গরু বাজার ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ষ্টেশনের গরুর বাজারটি ১ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। মহাসড়ক থেকে ৫ ফুট দুরে গরু রাখা হচ্ছে। নির্ধারিত জায়গা না থাকায় এবং বেপারিদের সুবিধার্থে মহাসড়কের পাশে গরু রাখা হচ্ছে। তিনি খরুলিয়া গরু বাজারের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন মহাসড়কের উপর খরুলিয়া গরু বাজার রয়েছে। ঈদগাঁও গরু বাজার এত দোষের কিছু নয়।
দেশবিদেশ /১৯ অক্টোবর ২০১৮/নেছার
Posted ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh