নিজস্ব প্রতিনিধি,উখিয়া | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
উখিয়ায় এনজিও কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অকালে ঝরে যাওয়া এই এনজিও কর্মীর মৃত্যু নিয়ে সাধারণ মানুষ সহ সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খিরা সংশ্লিষ্ঠ এমএসএফকে দায়ী করেছে। যেহেতু মৃত্যু ঘটনার সাথে চাকরি’র একটি যোগসুত্র রয়েছে। কারণ চাকরি হারানোর একদিনের মাথায় স্ট্রোক করে মারাযায় মরিয়ম বেগম (২২)। তার দুই শিশুর ভবিষ্যত কি কেউ বলতে পারছেনা। এমনকি তারা নিজেরাও জানেনা কি হবে তাদের। একদিকে পিতা বেঁচে থেকেও আদর-¯েœহ থেকে বঞ্চিত অন্যদিকে একমাত্র আশ্রয়স্থল মা’ও চলে গেছে না ফেরার দেশে। এনজিও কর্মী মরিয়মের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বামী সাথে বনিবনা না হওয়ার পর বাপের বাড়িতে চলে যায় মরিয়ম। সেখানে ২শিশু সন্তান নিয়ে থাকত সে। তবে সন্তান ভবিষ্যত চিন্তা করে এনজিওতে চাকরি নেয় মরিয়ম। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এমএসএফ কর্তৃপক্ষ পূর্ব ঘোষণা ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। এতে নিজে নিজে কি করবে ভেবে উঠতে পারছিলনা মরিয়ম। এতে রাগে, ক্ষোভে স্ট্রোক করেছে সে মারা যায়।
উখিয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক ও মরিয়মের শিক্ষক তহিদুল আলম তহিদ জানান, মরিয়ম অত্যান্ত ভাল ছাত্রী ছিল। বিয়ের পরে কলেজের অধ্যায়রত অবস্থায় এনজিওতে চাকরি হয় তার। কিন্তু মারা যাওয়ার খবর শুনে আমি খুবই হতভাগ। তার মৃত্যুর জন্যে তিনি এমএসএফ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বলেন, বিনা কারনে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তার এই অকাল মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রশাসনের নিকট এসব এনজিও’র অনিয়মের বিরুদ্ধে সুস্থু তদন্ত কামনা করছি।
মরিয়মের কলেজের সহকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন এসএমএফ কর্তৃপক্ষ পূর্বের ঘোষণা ছাড়া চাকরিচ্যুত করার কারনে সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। এই জন্যে তারা এনজিও সংস্থা এমএসএফকে দায়ী করছেন। আর ২ শিশু দিকে থাকালে দু’চোখে দিয়ে অশ্রু চলে আসার কথা জানান তারা।
Posted ১:১১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh