দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯
কানাডায় আশ্রয় পাওয়া সেই সৌদি তরুণী নিজের স্বাধীনতাকে উদযাপন করছেন। তার এই স্বাধীন জীবনে সঙ্গী হয়েছে মদ, শুকরের মাংস আর গাঁজা।
সৌদি আরবের এই তরুণীর নাম রাহাফ মোহাম্মেদ আল-কুনুন। পরিবারের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ এনে বিশ্বে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। তার স্বাধীনতাকে হরণ ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে পরিবার ছেড়ে পালিয়ে যান। সৌদি থেকে পারিবারিক সফরে কুয়েতে গিয়ে সেখান থেকে থাইল্যান্ডে পালান।
রাহাফ বলেন, ধর্ম ত্যাগ করায় পরিবারের সদস্যরা তাকে মেরে ফেলতে পারেন। কারণ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। তাকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠালে বন্দী অথবা মেরে ফেলা হবে। একবার চুল কাটানোর কারণে তাকে এক কক্ষে ছয় মাস বন্দী করে রাখা হয়েছিল। তাকে যেন পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো না হয় সে জন্য আবেদন করেন।
রাহাফ অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথমে আশ্রয় চান। পরে জাতিসংঘের আহ্বানে কানাডা এই তরুণীকে আশ্রয় দেয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানান, কানাডা সব সময় মানবাধিকার ও নারীদের অধিকারের পক্ষে। জাতিসংঘ যখন আমাদের কাছে রাহাফকে আশ্রয় দেওয়ার আহবান জানায় তখন আমরা সেই আহবানে সাড়া দেই।
রাহাফের শেয়ার করা ওয়াইন ও সিগারেট।
এরপর ১৮ বছর বয়সী সৌদি তরুণী রাহাফ কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। সেখানকার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার স্ন্যাপচ্যাটে কিছু ছবি শেয়ার করেছে রাহাফ। তাতে রাহাফকে দেখা গেছে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরিহিত অবস্থায়। এই ছবির সঙ্গেই তিনি মদ এবং সিগারেটের টুকরার ছবি দিয়ে সেগুলো দারুণ উপভোগ করছেন বলে জানান। এছাড়া জীবনে প্রথম কানাডিয়ান স্টাইলে বেকন খাচ্ছেন (শূকরের হিমায়িত মাংস) বলে জানান তিনি।
সিগারেট ও মদের ছবি শেয়ার করে ছবির ক্যাপশনে লেখেন, মাইনাস ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বসে ‘বাষ্প’ উড়াচ্ছি। খবর: ডেইলি মেইল অনলাইন
Posted ৬:২৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh