সাইফুল ইসলাম | বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহনের লড়াই আজ। মেয়র পদে পাঁচ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রথম বারের মতো পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ভোটারদের মাঝে। দলীয় প্রতীক নিয়ে কে হচ্ছে পৌরপিতা। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন। মাঠে নামানো হচ্ছে এক হাজারের অধিক নিরাপত্তা কর্মী। ভোটে কোন ধরণের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পৌরসভার ১২ ওয়ার্ডের ৩৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহন চলছে। ৩৯ কেন্দ্রের মধ্যে ২২৪ টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থাকছেন। পাশপাশি একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যেক কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৪ জন পুলিশ থাকছে। আনসার থাকবে ১০ জন। প্রতি দুইটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র্যাবের ছয়টি দল দায়িত্ব পালন দায়িত্ব পালনে অব্যাহত রয়েছে। সূত্রমতে, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ৮৩ হাজার ৭২৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার (ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৭০১ জন । এরমধ্যে প্রতি কেন্দ্রে ১জন প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ৩৯ জন, প্রতিটি কক্ষে ১ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ২২৪ জন এবং প্রতিটি কক্ষে দুইজন পোলিং অফিসার হিসেবে ৪৪৮ জন। কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ কেন্দ্রে ভোট হবে ‘ইলেক্ট্রনিক ভোটিং সিস্টেম (ইভিএম)’ পদ্ধতিতে হচ্ছে। এ তিন কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ৫৯০ জন।
কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে ঝাউতলা গাড়ী মাঠের ১০১৭ জন পুরুষ ও ৮৭৮ জন নারী তাদের ভোটাধিকার পয়োগ করবেন। এই কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৫টি। পশ্চিম, দক্ষিণ ও উত্তর বাহারছড়ার ২০৫২ জন পুরুষ ও ১৬৪৩ জন নারী ভোটার ভোট দেবেন দুই ভোটকেন্দ্র প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) প্রশিক্ষণ শাখায়। সেখানে মোট কক্ষ ১০টি। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন, সরকার দলীয় তথা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রফিকুল ইসলাম, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে সরওয়ার কামাল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে রুহুল আমিন সিকদার ও ইসলামী শামনতন্ত্র আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা নিয়ে জাহেদুর রহমান। এছাড়াও সংরক্ষিত ৪টি মহিলা আসনে কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আচরণবিধির ব্যাপারে কোনো প্রার্থীকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। পাশাশাশি ভোটগ্রহনে কোন অনিয়ম যাতে না হয় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনার মাহবুব তালকদার বলেছেন- পৌরসভা নির্বাচনে জাল ভোট ও ব্যালেট ডাকাতি চাই না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যা সর্বজন গ্রহনযোগ্য হয়। যাতে ভোটে কোন ধরণের অনিয়ম না হয় প্রশাসন ও আইনশৃঙখলা বাহিনীকে কঠোর নিদের্শনা দেয় হয়েছে।ৎ
দেশবিদেশ /২৫ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh