সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, | শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে নাগরিক সুবিধা প্রদানের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নাগরিক সুবিধা গ্রহণকারী জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার নিয়মিত সব ধরণের নাগরিক সুবিধার কাগজপত্রে স্বাক্ষরসহ সব রকম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও অদৃশ্য কারণে ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বিধি বহির্ভূত ভাবে নিজ নামে নাগরিক সনদপত্রসহ বিভিন্ন কাগজ পত্র ছাপিয়ে অদ্যাবধি নিজ স্বাক্ষরে বিভিন্ন কাগজপত্র দিয়ে আসছে।
অপরদিকে চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদারও নিয়মিত নিজ স্বাক্ষরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নে একই সময়ে দুই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে কাগজপত্র ইস্যু করায় নাগরিকরা এসব কাগজপত্র নিয়ে সুবিধা গ্রহণ করতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন ।
নিয়মিত চেয়ারম্যানকে স্থানীয় সরকার বা আদালত কতৃক অব্যাহতি বা বহিস্কার না করার পরও কিভাবে দায়িত্ব চলমানকালে একজন মেম্বার বিধিবহির্ভূত ভাবে নিজ নামে কাগজপত্র ছাপিয়ে যতসব কাগজপত্র ইস্যু করে যাচ্ছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের ভোগান্তির শিকার নাগরিক ও পরিষদের অন্য সদস্যবর্গ চরম বেকায়দায় রয়েছে বলে জানা গেছে ।
চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি নিয়মিত নাগরিক সেবা দিচ্ছেন এবং কাগজপত্রে স্বাক্ষরও দিচ্ছেন । কোন বিধিতে মেম্বার আবুল কাশেম এসব করে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন না। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
ইউপি সচিব শুভ কান্তি দে’র সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, চেয়ারম্যান এবং প্যানেল চেয়ারম্যান ১ এর স্বাক্ষরে পৃথক কাগজপত্র ইস্যু হচ্ছে নিয়মিত। তবে চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি বা বহিষ্কারের মতো কিছু ঘটেনি। তবে প্যানেল চেয়ারম্যান ১ কেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দায়িত্ব দেননি বলে স্বীকার করেন।
একই সময়ে দুই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে ইসু হওয়া কাগজপত্রের স্মারক নম্বর কিভাবে দেয়া হয় ও এন্ট্রি করা হয় জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
অভিযোগ উঠা প্যানেল চেয়ারম্যান ১ আবুল কাশেমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অটোমেটিক তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন এবং তা করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও তাকে মৌখিক ভাবে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন,একই সাথে, একই সময়ে দুই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে কাগজপত্র দেয়ার কোন সুযোগ নেই এবং নিয়মিত চেয়ারম্যানের পরিবর্তে মৌখিক ভাবে তিনি কাউকে দায়িত্ব দেননি এবং দেয়ার সুযোগও নেই। অভিযোগ পেলে তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান ।
এদিকে সচেতন ইউনিয়নবাসী এ জালিয়াতি ও অনিয়ম থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Posted ১১:০০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh