বৃহস্পতিবার ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
Advertisement Placeholder
চরম দুর্ভোগে পর্যটক ও ব্যবসায়িরা

ভাঙ্গাচোরা সড়কে বেহাল দশা, লাইট হাউজ হোটেল জোন এলাকা

মাহাবুবুর রহমান   |   সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   127 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

ভাঙ্গাচোরা সড়কে বেহাল দশা, লাইট হাউজ হোটেল জোন এলাকা

কক্সবাজার লাইট হাউজ হয়ে হোটেল জোনে আসার একমাত্র সড়কের মাঝখানে প্রায় খানাখন্দ,বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে সড়কে পায়েতো দূরের কথা গাড়ি নিয়ে চলাও মুশকিল। পাশ্ববর্তী সড়কেও সলিং বা ঢালায় না থাকায় সব সময় কাঁদাময় হয়ে থাকে পুরু সড়ক।

এছাড়া নালা পরিস্কার না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি চলে রাস্তা দিয়ে এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে শত কোটি টাকা ইনভেস্ট করা হোটেল ব্যবসায়ি থেকে শুরু করে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। দ্রুত সড়ক সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ি সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

পাহাড়তলী হয়ে লাইট হাউজ মাদ্রাসার পাশ দিয়ে দিয়ে হোটেল জোন রয়েল পার্ল হোটেল হয়ে পুরাতন তাহের ভবনের পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজারের বেশি স্থানীয় মানুষ এবং অসংখ্য পর্যটক যাতায়াত করে। তবে রাস্তার বেহাল দশা এবং ভঙ্গুর দশার কারনে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এখন দূরহ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ি আনিছুর রহমান জানান,আমি এখানে খাবার হোটেলের ব্যবসা করি ৯ বছর ধরে। তবে বর্তমান সময়ের মত রাস্তা খারাপ আগে কখনো দেখিনি।

এখানে আশপাশের সব রাস্তা এখন ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। হোটেল রয়েল পার্লের সামনের রাস্তা খুবই নাজুক। লাইট হাউজ মাদ্রাসার সামনের রাস্তাটিতে সলিং বা ঢালাই নাই বহু বছর ধরে। তাই এই রাস্তায় সব সময় কাঁদা লেগে থাকে। ফলে কোন পর্যটক এদিকে আসতে চায় না। যারা একবার আসে তারা আর দ্বিতীয় বার আসেনা। আবার পুরাতন তাহের ভবনের পাশের সড়কে সলিং থাকলেও রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। ফলে পর্যটকতো দূরের কথা স্থানীয় বাসিন্দারাও হাটাচলা করতে পারেনা।

১৯ অক্টোবর বিকালে গিয়ে লাইট হাউজ সড়কের পাশে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করা নাদিম শাহরিয়ার নামের এক পর্যটকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,এখানে হোটেলের পরিবেশ,আতিথেয়তা এবং দাম ও মান খুবই ভাল। কিন্তু বাইরে রাস্তার পরিবেশ ভাল না। অটো দিয়েও রাস্তা চলাচল করা যায় না। আবার কিছু রাস্তা দেখছি উন্নয়ন কাজ চলছে সেখানে আরো অবস্থা খারাপ। সব মাটি এবং ময়লা কাঁদা দিয়ে রাস্তা ভরে রেখেছে। এটা কিভাবে পর্যটন জোন হতে পারে।

আরেক ব্যবসায়ি আজিম জানান,এখানে নালা গুলো ঠিকমত পৌরসভা থেকে পরিস্কার করা হয় না। মাঝে মধ্যে পরিস্কার করলেও তা আবার পাহাড়ি মাটি এসে ভরাট হয়ে যায়। উপরের দিকে অনেকে পাহাড় কাটে তাই নালা সব সময় ভরে থাকে। কিন্তু তার দ্বায়ভার ভোগ করতে হচ্ছে আমরা সাধারণ ব্যবসায়িদের। তিনি বলেন,কয়েকদিন আগে ভারী বুষ্টির সময় রাস্তায় প্রচুর পানি জমে যায়, আমার চোখের সামনেই কয়েকটি গাড়ী নালায় পড়ে যেতে দেখা গেছে। কারন নালা এবং রাস্তা বুঝার সুযোগ নেই।
এ সময় কয়েকজন হোটেল মালিক বলেন,আমরা শত কেটি টাকা ইনভেস্ট করে এখানে হোটেল করেছি,নিয়মিত লাখ টাকার উপরে পৌর টেক্স দিয়ে থাকি। তাহলে আমরা কি সুবিধা পাচ্ছি। এভাবে বছরের পর বছর যদি রাস্তা নিয়ে কষ্ট পেতে হয় তাহলে কিভাবে ব্যবসা করবো। কাঁদা রাস্তার কারনে ভাল মানের পর্যটকরা এই রাস্তা দিয়ে আসতে চায়না। আর পৌরসভার ময়লার দূর্গন্ধে এখানে টিকে থাকা যায় না। নিয়মিত পৌরসভা ময়লা পরিস্কার করেনা। অনেকবার ফোন করলে ৫/৬ দিন পর একবার আসে। তাও পৌরসভার কর্মচারীরা চা পানির খরচ চায়।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার প্রকৌশল শাখায় যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন,হোটেল জোনে অনেক রাস্তা উন্নয়নের কাজ চলছে,বাকি গুলোও সামনে উন্নয়ন বা ঢালাইয়ের কাজ হবে। তবে কাজ ধীরগতি হচ্ছে শিকার করে এর জন্য ঠিকাদারকে দ্বায়ি করছেন প্রকৌশল বিভাগের লোকজন।

 ডিবিএন/জেইউ।

Facebook Comments Box

Comments

comments

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম

যোগাযোগ

প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত

মোবাইল : ০৩৪১-৬৪১৮৮। বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন 01870-646060

ই-মেইল: ajkerdeshbidesh@yahoo.com