দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮
বিমান ভ্রমণে ইন্টারনেটের ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে অপারেশন চালানো ২৬টি এয়ারলাইন্সের কেউই এই সেবা শুরু করেনি। অবশেষে বাংলাদেশ বিমান শুরু করতে যাচ্ছে বিমানের মধ্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও মোবাইলে কথা বলার সুযোগ।
আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা শুরু হবে। বিমানের বহরে যোগ হওয়া বোয়িং-এর তৈরি চারটি ড্রিমলাইনারে থাকবে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা যাবে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার। প্রথম দফায় ৯টি চ্যানেল থাকবে টেলিভিশনে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমানকে এসব সেবা দেয়ার সবুজ সংকেতও দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। নতুন সেবা চালু করতে প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৫টি স্যাটেলাইট দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এই সেবা দিবে।
সেবাগুলো চালু হলে বিমান যাত্রীরা উড়োজাহাজে থ্রিজি গতিতে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোন থেকেই কথা বলা যাবে দুনিয়ার যে কোনো জায়গায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানের প্রত্যেক যাত্রী বিনামূল্যে তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ২০ মেগাবাইট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের প্রথম বিমান সংস্থা হিসেবে এই সেবা তারা চালু করছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বিমানের বহরে বোয়িং-এর তৈরি চারটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হতে চলেছে। প্রথম ড্রিমলাইনটারটি আসবে আগামী আগস্টে। সবগুলো ড্রিমলাইনারেই উড্ডয়নরত অবস্থায় মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। তবে ফোনকল বা বাড়তি ডেটা ব্যবহারে খরচ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এই সেবার ফলে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ওই কর্মকর্তারা।
Posted ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh