সাইফুল ইসলাম | শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮
কক্সবাজার পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের প্রধান দুই শরিক বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সু-সম্পর্কের ফাটল দিন দিন চওড়া হচ্ছে। পূর্বেই পৌরসভার মেয়র প্রার্থীতা নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বাকবিতন্ডা থাকলেও একেবারে ফাটল ছিলো না। তবে পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণায় যতই দিন যাচ্ছে ততই তাদের উভয় দলের মধ্যে রুপ পাল্টে যাচ্ছে। বলতে গেলে বিএনপিকে কোন পাত্তাই দিচ্ছে না জামায়াত। একইভাবে জামায়াতকেও এড়িয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এদিকে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রফিকুল ইসলাম এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে সওয়ার কামাল সমানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জোটের প্রধান দুই শরিকের মধ্যে টানাপড়েন এবার স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে। বাস্তবে পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সম্ভাব্য জাতীয় ঐক্যের একমাত্র ‘বাধা’ হিসেবে বিবেচিত জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক দূরত্ব শুরু হলো।
একদিকে বিএনপির নেতারা মনে করছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত এখন বিএনপি’র বোঝা- বরং নিবন্ধন ও প্রতীক হারানোর পর বিএনপির কাঁধে সাওয়ার হয়েই জামায়াতকে নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছেন। তারপরেও তারা বিএনপির কে বিভিন্ন দিক দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন। অন্যদিকে জামায়াতের নেতারা মনে করছেন-জামায়াতের ভোট ছাড়া বিএনপি কোন দিনেই নির্বাচিত হতে পারবে না। বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কোন কোন ইউনিয়নের জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো ধরনের ঐক্য ছিল না। সে ইউনিয়নগুলোর অকেগুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও আবার অনেকগুলোতে তার ব্যতিক্রমও ঘটেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব রয়েছে।
বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো ধরনের ঐক্য ছিল না। আগামী ২৫ জুলাই কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দলের দুরত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। এ নির্বাচনে জামায়াত আলাদাভাবে মেয়র প্রার্থী দিয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে জামায়াত দলীয় প্রতীকে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। স্বতন্ত্র ব্যানারে দলটির নেতারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনেও একই কৌশলে লড়তে পারে জামায়াত।
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে জামায়াত ও বিএনপি আলাদা প্রার্থীতা ঘোষণাকে নেতারা ‘বাড়াবাড়ি’ বলে মনে করছেন। এ অবস্থায় জামায়াত জোট ছেড়ে গেলে বিএনপি লাভবান হবে বলে তারা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। এরা আগামী ২৫ জুলাই ১২ ওয়ার্ডের ৩৯ কেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দেশবিদেশ /১৩ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh