শনিবার ২৫শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকালে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জায়গায় এবং নিজস্ব অর্থে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের যে কাজটা করার দরকার ছিল আমরা তা করেছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এই দায়িত্বটা আপনাদের সবারও থাকলো।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। জনগণ ভোট দিলে আবার সরকারে আসবো। না হলে নাই। বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করছে, তাই আমার কোনও আফসোস থাকবে না।’

শতবর্ষ মেয়াদী ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সেই পরিকল্পনাটাও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র মাধ্যমে আমরা করে দিয়ে গেলাম যাতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে চলতে পারে।’

দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দেশের বিমানবহরে আধুনিক নতুন বিমান সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন নিজস্ব বিমানেই প্রবাসীরা দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার শুরুতেই জাতির জনেকর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি যে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন তাই নয়, বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন দেশে আমাদের নিজেদের জায়গায় নিজস্ব দূতাবাস হবে সে প্রক্রিয়াটিও শুরু করে যান। আমাদের নিজস্ব দূতাবাস ভবনটি আজকে উদ্বোধনের সময় আমার বারবারই মনে পড়ছিল আজ যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতো।’ তিনি বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস স্থাপনে আমাদের সরকার কাজ শুরু করে এবং ওয়াশিংটন ও দিল্লিতে ভবন স্থাপন করে। তবে অস্টেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে এই কাজ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকার বন্ধ করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় হজ যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাজিদের সুবিধার্থে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের সরকার হজ অফিস মক্কায় নিয়ে গেছে। হজ মৌসুমে হাজিদের সুবিধার্থে মক্কা এবং মদিনাতেও নিজস্ব জায়গায় অফিস তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। এ ব্যাপারে জমি অথবা অফিসের জন্য ফ্লোর কেনার জন্যও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তিনি হজকার্যে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সৌদি বাদশাহ এবং দেশটির সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চ্যান্সেরি ভবনটা যখন তৈরি করা হয় তখনই আমার নির্দেশনা ছিল এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্দোবস্ত রাখার।’

দেশের ডিজিটালাইজেশনের সুফল এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মতো প্রবাসীরাও পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি ভবন ব্যবহারকারীদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আজ সৌদি বাদশাহ’র সঙ্গে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আমি বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে বাদশাহ তাতে সানন্দে সম্মতি প্রদান করেন।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেএসএ গোলাম মসীহ বক্তৃতা করেন। প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ সেবা প্রত্যাশীদের জন্য ৫১০ বর্গমিটারের একটি শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস।

Comments

comments

Posted ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com