এম.আর মাহবুব | বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
কক্সবাজারের দু’প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী এলাকায় শীতকালীন প্রধান সবজি ফুলকপি ও বাধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর জেলার প্রধান দুই নদী ছাড়াও-নদী, ছোট-বড় খাল সমূহের তীরবর্তী এলাকার বিস্তৃত সবজি ক্ষেতে ফুলকপি এবং বাধাকপিতে টইটম্বুর, এক অন্য রকম ঘ্রাণ। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুল এবং শীতের আদ্রতা বৃদ্ধি থাকায় ফুলকপি ও বাধাকপির ভাল ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে দাম ভাল থাকায় তৃণমুল পর্যায়ের সবজি চাষীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়-বিগত অগ্রহায়ন মাসের শুরুতে জেলার সর্বত্র সবজি চাষী কৃষকরা প্রতিযোগিতা দিয়ে শীতকালে ক্রেতাদের পছন্দের সবজি ফুলকপি,বাধাকপি চাষে নেমে পড়ে। চাষের ক’দিন না যেতেই হঠাৎ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে কক্সবাজারের উপর বয়ে যাওয়া মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে প্রারম্ভিক সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা বাজারে কিছু আগাম ফুলকপি-বাধাকপি তুললেও দাম ছিল আকাশ চুম্বি। ডিসেম্বরের শুরুতে বাজারে ফুলকপি-বাধাকপি বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৬০ থেকে ৫০ টাকায়। এরপর আবহাওয়া পুরোদমে অনুকুল তথা শীতের আদ্রতা বৃদ্ধি থাকায় পাল্লা দিয়ে সবজি চাষীরা দ্রুতই নব উদ্যোমে ফুলকপি-বাধাকপি চাষে মন দেয়। হিসেবের ফলও পেেেয়ছে হাতে-কলমে। দ্রুত বর্ধনশীল সু-স্বাদু এই সবজি জেলার হাট-বাজার সমূহে চাষীরা খুশি মনে দেদারছে এখন বিক্রি করছে। তবে ্পাইকারি দাম একটু কমতির দিকে। পাইকারি বাজারে এক’শ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দু’হাজার টাকায়। আর বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১২’শ থেকে ১৬’শ টাকায়।
অন্রদিকে খুচরা বাজারে ফুলকপি কেজিতে ২০-২৫ টাকা এবং বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকায়। গতকাল ১৬ জানুয়ারি সকালে সদর উপজেলার বাংলাবাজারে ফুলকপি-বাধাকপি বিক্রি করতে আসা ঝিলংজার চান্দের পাড়ার কৃষক মোক্তার আহমদ জানান-শুরুর কথা বাদ দিলে এবার আবহাওয়া পুরোপুরি ফুলকপি-বাধাকপি চাষের অনুকুল। শুরুতে ভালই দাম পেয়েছি। তবে বাজার এখন পড়তির দিকে। ফলন ভাল হওয়ায় ভালই লাভের আশা করছেন কৃষক মোক্তার। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলার কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি মোহাম্মদ এনামুল হক কাদেরি জানান-ভাল শীত, ভাল ফুলকপি-বাধাকপি চাষের অন্যতম উপাদান। আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকুলে থাকায় এবার ফুলকপি,বাধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে।
Posted ১:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh