দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। প্রস্তাবের পক্ষে বিশ্বের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২০টি দেশ এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র আটটি দেশ। ৪৫টি সদস্য ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
প্রস্তাবে ৬০ দিনের মধ্যে অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার উপায় এবং আন্তর্জাতিক পন্থা খুঁজে বের করতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকার ভেতরে এবং বাইরে ফিলিস্তিনিদের অবাধে চলাচলের ওপর ইসরাইল যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা অবসানেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার অধিবাসীরা গত ৩০ মার্চ থেকে নিজেদের ভূমিতে ফেরার লক্ষ্যে গাজা সীমান্তে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। এসব বিক্ষোভ মিছিলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ১৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৩ হাজার ৯০০ জন আহত হয়।
চলতি জুন মাসেই গাজা উপত্যকা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা কুয়েতের একটি প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দেয়ার পর ওই প্রস্তাবের পক্ষের দেশগুলো বিষয়টি সাধারণ পরিষদে তোলে এবং বুধবার তারই ওপর ভোটাভুটি হলো।
সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি পাল্টা প্রস্তাব তোলে যাতে গাজায় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নিন্দা করা হয়। তবে সে প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬২টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৫৮টি দেশ। ৪২ দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, এতে বিভ্রান্ত না হতে আমি অন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানাব। তিনি আরো বলেন, আমরা খুব সাধারণ কিছু চাইছি, আমরা চাই আমাদের জনগণ সুরক্ষিত থাকুক।
জাতিসংঘে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত ফেরিদুন হাদি সিনিরওগ্লু গাজা প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে অবস্থান নেয়া এবং এটা প্রমাণিত হলো যে, সারা বিশ্ব ফিলিস্তিনি জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি খেয়াল রেখেছে। পার্সট্যুডে।
Posted ১০:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh