সাইফুল ইসলাম | বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
আসন্ন কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই বাড়ছে প্রার্থীদের প্রচারণা। তবে ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন সাড়া জাগেনি। এখনো পর্যন্ত ভোটাররা নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন না। কিন্তু প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা বিজয় হওয়ার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে জোরে-শোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটাররা অবলোকন করেছেন মাত্র। এমনকি প্রতিটি দলের নেতা-কর্মী ছাড়া সাধারণ ভোটারদের মনে প্রতিনিয়তেই একটি আতঙ্ক বিরাজ করেছেন বলে দাবী সচেতন মহলের। এমনকি সাধারণ ভোটররা ভোট নিয়ে মুখও খুলছে না। জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচ মেয়রপ্রার্থী ছাড়াও ৬৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৮জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা পুরোদমে প্রচারণাসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। দিন পেরিয়ে রাত অবধি পর্যন্ত ধর্ণা দিচ্ছে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। সেই সাথে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা ও সমর্থকেরাও চালাচ্ছেন প্রচারণা।
মাইকিংয়ের শব্দে গম গম করছে পুরো পৌর এলাকা। প্রত্যেকের দলীয় নেতাকর্মীদের থেকে জানা গেছে, দলীয় প্রার্থী হওয়ায় পাঁচ মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যেক ভোটাররা নিজ নিজ দলের নির্দিষ্ট হয়ে আছেন। বিশেষ করে সরকার দলীয় অর্থাৎ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ) এবং জামায়াত সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী সরওয়ার কামাল (নারিকেল গাছ) প্রত্যেকেরই আসা ভোটাররা দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। একদিকে সরকার দলীয় প্রার্থী মেয়র পদে মুজিব চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোটাররা সাড়া দিলেও অধিকাংশ ভোটাররা সাড়া দিচ্ছেন না। অন্যদিকে অন্য মেয়র প্রার্থীদের দলের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারন ভোটারদের তেমন ছাড়া শব্দ নেই। এদিকে ভোটার নিয়ে অন্ধকারে হাবুডুডু খাচ্ছেন সংরক্ষিত মহিলা সাধারন কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। কারণ কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া নেই ভোটারদের। কিন্তু তাঁরাও ভোটারদের এ ঘর থেকে ও ঘরে নিরলস ভাবে প্রচারণা চালালেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না ভোটাররা।
তারপরেও প্রার্থীরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে সাধারণ ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ৭নং ওয়ার্ডের রমজান আলী নামে এক ভোটার বলেন, ‘মেয়র প্রার্থীর চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোটযুদ্ধে আমেজ বেশি। কারণ সব প্রার্থী একই এলাকার হওয়ায় পাল্টাপাল্টি প্রচারণায় ভোটারদের মাঝে আনন্দ বেশি থাকে। কিন্তু নির্বাচনের সময় দূরে থাকায় এখনো প্রতিযোগিতামূলক কিছু হচ্ছে না। তাই ভোটারারও সাড়ে দিচ্ছে না। এমনকি ভোট নিয়ে আড্ডাবাজিও তেমন চোখে পড়ছে না। ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে ১১ ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি সাধারণ (পুরুষ) কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এমনকি কয়েকটি ওয়ার্ডে পাঁচজনের বেশি প্রার্থী রয়েছে।
সব প্রার্থী সমানভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে। এতে দু’য়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকিগুলো এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে কে এগিয়ে থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হচ্ছেন। তাই ভোটাররা দ্বিধা- দ্বন্দের পড়ে কোনো প্রার্থীর দিকে সাড়া দিতে পারছে না। ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার আবদুল হাকিম বলেন- প্রচারণা জোরে-শোরে চালালেও এখনো পর্যন্ত কে কাউন্সিলর হচ্ছেন তা স্পষ্ট হচ্ছে না। আমি চাই শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ যে জনগণের পছন্দে থাকবে তাকেই ভোট দিই। তা এখনো স্পষ্ট না হওয়ায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে সাড়া দিচ্ছি না ভোটাররা। এমনকি নির্বাচনে আমেজও নিজেকে জড়াতে চাচ্ছি না। সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হলে পরবর্তীতে নানাভাবে ভুগতে হবে সবাইকে। কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৭৩ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন। এরা আগামী ২৫ জুলাই ১২ ওয়ার্ডের ৩৯ কেন্দ্রে সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যš তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।দেশবিদেশ /১২ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh