শফিক আজাদ, উখিয়া | বুধবার, ০৪ জুলাই ২০১৮
টানা ২দিনের ভারী বর্ষণে উখিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের তৈরীকৃত ৫শতাধিক ঝুপড়ি ঘর ধ্বসে পড়েছে। যার ফলে এসব পরিবার গুলোকে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন যাপন করতে হচ্ছে বলে খরব পাওয়া গেছে। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত বইতে শুরু করে। রাত যত গভীর হচ্ছে ততই বাড়তে থাকে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেক। ভোর রাতের দিকে বৃষ্টিরমাত্রা বেড়ে গিয়ে অসংখ্য ঘরবাড়ী বিধস্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মতে, কুতুপালং ক্যাম্পে শতাধিক ঝুপড়ি ঘর ধ্বসে পড়ে বেশ কিছু পরিবার গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। বালুখালী ক্যাম্পের লালু মাঝি জানান, তার ক্যাম্প পাহাড় কেটে বসবাসের উপযোগী করে অধিকাংশ ঘর তৈরী করা হয়েছিল।
যে গুলো ছিল খুবই ঝুকিপূর্ণ। ইতিপূর্বে প্রশাসন কিছু পরিবার নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে গেলেও ২শতাধিক পরিবার ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়। মঙ্গলবার রাত ভর ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের খাদে ও উপরে বসবাসরত এসব বসতবাড়ী ধ্বসে পড়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে উক্ত পরিবার গুলো। তাজনিমার খোলা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোঃ আলী বলেন, তাজনিমারখোলা ক্যাম্পে ঝুকিপূর্ণ ঘরবাড়ী মধ্যে ৩০টি বসতবাড়ী মাটি নিচে তলিয়ে গেছে। যার কোন অস্থিত্ব খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে আগে থেকে এসব ঘরবাড়ী থেকে লোকজনকে অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এভাবে বালুখালী ২নং ক্যাম্প, ময়নারঘোনা, শফিউল্লাহকাটা, লম্বাশিয়া সহ ছোট বড় ২০ ক্যাম্পে প্রায় ৫শতাধিক বসত ঘর ধ্বসে পড়েছে। ওইসব ঘরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এদের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিলেও খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছে বেশ কিছু পরিবার। ভারপ্রাপ্ত উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) একেরামূল ছিদ্দিক জানান, তিনি সকালে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তেমন কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি তার নজরে আসেনি। সেখানে কিছু বসতবাড়ী ধ্বসে পড়তে দেখেছেন। এসব পরিবার গুলোকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
উখিয়ায় সড়কের উপর দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত:
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উখিয়ার বালুখালী কাস্টম্স,থাইংখালী,পালংখালীসহ বিভিন্ন স্থানে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে সহ¯্রাধিক পরিবার। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার প্রবল বর্ষণে পালংখালী ইউনিয়নের হাজারেরো অধিক পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বুধবার সকাল থেকে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ সড়কেও গাড়ী চলাচল বন্ধ রয়েছে তিনি জানান।
দেশবিদেশ /০৪ জুলাই ২০১৮/নেছার
Posted ১০:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh