| বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২০
কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমুদ্রকন্ঠ পত্রিকায় নৌকা থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া রাজাকারের নাতি খোকন সংবাদে আমার দৃষ্টিঘোচর হয়েছে। যথাযথ তথ্য বিহীন এই সংবাদে উল্ল্যেখ করা হয়েছে যে আমার শ্রদ্ধেয় দাদা মরহুম এরশাদুল হক মেম্বার নাকি বাহারছড়া ইউনিয়নের রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। প্রকৃত পক্ষে আমার দাদা কি রাজাকার ছিলেন নাকি একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে তদন্ত করার দাবী জানাচ্ছি। সরকারী কোনো তালিকায় আমার দাদা রাজাকার বলে নাম নেই বা কোনো মামলাও নেই। তিনি যে স্বাধীনতা বিরুধী ছিলেন এমন কেউ প্রমান দিতে পারলে সজ্ঞানে সেচ্চায় রাজনীতির মাঠ থেকে সরে দাঁড়াব।
উক্ত সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে আমি নাকি মাদক ব্যবসায় জড়িত। অতীতেও এই ব্যাপারে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু আমি নিরহ থাকাতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারিনি। প্রকৃত পক্ষে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা ও গ্রহন যোগ্যতাকে গায়েল করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে। মুলত তারাই রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভূক্ত ইয়াবা গডফাদার। যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্র বিরুধী জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কাপূরুষরা জনপ্রতিনিধি নাম দিয়ে সরকারী অর্থ আত্নসাৎ করার কারণে দুদুকের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারও ভোগ করেছে এবং সেই মামলা এখনো চলমান আছে। বড় মাপের মাদকের মাফিয়া হওয়ার কারণে এই প্রতিপক্ষ চক্র গত বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রশাসনের বাধার কারণে অংশ গ্রহন ও প্রতিযোগিতা করতে পারেনি। শতশত ইয়াবা গডফাদাররা তাদের জীবনের আত্নশুদ্ধির জন্য আত্মসমর্পণ করলেও এই মাদক মাফিয়ারা অবৈধ টাকার প্রভাবে আত্মসমর্পণ না করে উল্টো এলাকার মানুষদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।
আমার পরিবার ১৯৯১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত ইউনিয়ন ও ওর্য়াড পর্যায়ের কমিটি গুলো পর্যালোচনা করলে তা পানির মত পরিষ্কার হবে। আমি ছাত্রলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনীতি থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছি ভোটের মাধ্যমে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে। আমি ও আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে বন্ধ পরিকর এবং প্রধানমন্ত্রীর মাদক বিরুধী সংগ্রামের সমর্থনকারী। যড়যন্ত্রকারীরা যড়যন্ত্র করে আমি ও আমার পরিবারকে এই আদর্শ থেকে কখনো দুরে সরাতে পারবেনা। আমি চ্যালেন্স করলাম কেউ যদি আমার দাদা রাজাকার ও আমি মাদক ব্যবসায় জড়িত এমন প্রমান দেখাতে পারে তাহলে আমি সেচ্চায় ভোটের মাঠ থেকে সরে যাব এবং শাস্তি ভোগ করব। আমার বিরুদ্ধে সংবাদে বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি নাছির উদ্দীন একজন ভূয়াঁ মুক্তিযুদ্ধা দাবীদার। তিনি কোনো গ্রেজেড প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধা নয়। পরিশেষে সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ যতাযত প্রমান ও সংবাদ সংগ্রহ করে সংবাদ প্রকাশ করার আহবান রইল। এই বিষয়ে আমি আইনগত আশ্রয় নেব।
প্রতিবাদকারী
আমজাদ হোসেন খোকন
সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ
বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখা, টেকনাফ কক্সবাজার। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বাহাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ, টেকনাফ।
Posted ৬:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২০
dbncox.com | ajker deshbidesh