দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অধীনে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন গতিশীল করতে অর্থ ছাড় সহজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি হয়েছে। সরকারের চলমান আর্থিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অর্থ অবমুক্তি ও ব্যবহার নির্দেশিকায়’ এ সংশোধন আনা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের জিওবি অংশের বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ছাড় করার বিধান রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রকল্প পরিচালকদের অর্থ ছাড়ের অনুমোদন গ্রহণে দীর্ঘ ২/৩ মাস অতিবাহিত হয়।
সংশোধিত পদ্ধতিতে উন্নয়ন প্রকল্পের ১ম ও ২য় কিস্তির অর্থ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকে বিভাজন আদেশ জারি এবং অর্থ ছাড় করার প্রয়োজন হবে না। প্রকল্প পরিচালকরা বাজেট বরাদ্দের আলোকে জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে সরাসরি অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
এতে বলা হয়েছে, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করের (CD & VAT) ক্ষেত্রে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ছাড় করার বিধান রয়েছে। সংশোধিত পদ্ধতিতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ছাড়ের পরিবর্তে প্রকল্প পরিচালকদের বাজেট বরাদ্দের আলোকে জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে সরাসরি অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।
ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে কিস্তিভিত্তিক অর্থ ছাড়ের বিধান রয়েছে। সংশোধিত পদ্ধতিতে কিস্তির পরিবর্তে ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ এককালীন ছাড় করা যাবে।
সংশোধিত পরিপত্রটি ১ জুলাই ২০১৮ থেকে কার্যকর হবে। এ সংক্রান্ত পরিপত্রটি অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে, যা ( www.mof.gov.bd) ওয়েবসাইটের About ministry/Acts and Rules/Fund release procedure-2018 থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
সংশোধিত পদ্ধতিতে প্রকল্প পরিচালকরা অর্থবছরের শুরুতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে। ফলে এডিপির আওতায় গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন আরো গতিশীল হবে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেসব প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হয়, সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক সময় লেগে যায়। বিশেষ করে, অধিগ্রহণ করা ভূমির মূল্য পরিশোধে নানা জটিলতা দেখা দেয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। ভূমির দাম কিস্তির পরিবর্তে এককালীন পরিশোধের ব্যবস্থা করায় ভূমি মালিকদের মন থেকে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। এতে প্রকল্পের কাজ শুর করতে সহজ হবে।
তিনি বলেন, বাজেট বরাদ্দের পর মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কারণে সমস্যা দেখা দেয়। এখন থেকে প্রকল্প পরিচালকরা অর্থবছরের শুরুতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন। দেশবিদেশ/ ২৮ জুন ২০১৮/ নেছার
Posted ১০:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh