পেকুয়া অফিস | বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 52 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা, রাজাখালী ও উজানটিয়া ইউনিয়ন জুঁড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লো ভোল্টেজের মারাত্মক সমস্যা। বিশেষ করে উপকূলীয় এই এলাকা গুলোতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ এতটাই কম যে ফ্যান, ফ্রিজ, এমনকি পানির পাম্পও সচল রাখা যাচ্ছে না। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামলেই ভোল্টেজ নেমে যায় একেবারে নিচে। অনেক সময় বাল্বের আলো ম্লান হয়ে আসে, টেলিভিশন দেখা যায় না, ফ্রিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে বড় প্রভাব। আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকসসহ ঠান্ডা পণ্যের দোকানগুলো প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সাধারণত শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত ভোল্টেজ ৪৪০ ভোল্ট একটি তিন-ফেজ (3-phase) বাণিজ্যিক ভোল্টেজ, তবে এটি সাধারণত ৪০০ ভোল্ট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়, যা দুটি ফেজ লাইনের মধ্যে ভোল্টেজের পার্থক্য বোঝায়। এই সিস্টেমের ৩ ফেজের ১ ফেজ নষ্ট বলে দাবী করেছেন অনেকেই।
পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, এলাকা জুড়ে পুরনো লাইন ও ট্রান্সফরমার সমস্যার কারণে ভোল্টেজ কমে যাচ্ছে। দ্রুত মেরামত ও নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনের কাজ চলমান থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবী তাদের।
উজানটিয়া করিমদাদ মিয়ার ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মামুন বলেন, দিনে গরমে কুল পাওয়া যায় না, রাতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ থাকে না। ফ্রিজ চলে না, পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যূত পাওয়া না গেলেও বাড়তি বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিকে স্থানীয়রা দ্রুত টেকসই সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে একই সমস্যা থাকলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
মগনামার রিয়াজ উদ্দিন নামের ব্যবসায়ী জানান, অতিরিক্ত লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং এর কারণে কোন ধরণের কাজ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারণে বর্তমানে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধের পথে।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-এর অধীনে পেকুয়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফিরোজ কবির বলেন, লোডশেডিং এর কারণে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসে না, এটা মূলত হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকার কারণে। উপকূলের লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং সামাধান হবে চকরিয়ার সাথে নতুন গ্রিডে যুক্ত হলে।
ডিবিএন/জেইউ।
.
এ বিভাগের আরও খবর