নিজস্ব প্রতিনধি পেকুয়া: | রবিবার, ০৮ জুলাই ২০১৮
পেকুয়া উপজেলার হত দরিদ্র মানুষদের ঋণ দেওয়ার কথা বলে দুই শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে “সমাজ কল্যাণ সংস্থা” নামে একটি ভুয়া এনজিও’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে শনিবার বিকালে শতাধিক নারী ও পুরুষ গ্রাহক (সদস্য) পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্যাখালী এলাকার প্রবাসী জমির উদ্দিনের বাড়ীতে ওই ভূঁয়া সংস্থার কার্যালয়ের সামনে সদস্য বই হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে প্রতারণা শিকার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের মো: পেঠানের পুত্র ফরিদুল আলম পেকুয়া থানায় মঙ্গলবার রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে ওই ভূঁয়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাথে জড়িত থাকায় সন্দেহে বাড়ীর মালিক প্রবাসী জমির উদ্দিনকে বিবাদী করা হয়েছে। পেকুয়া থানার এস আই বিপুল চন্দ্র রায় অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতারিত লোকজনের পক্ষে ফরিদুল আলম নামের এক ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগটি তদন্ত করা হবে। এরপরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগকারীরা বলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্যাখালী গ্রামের আবুল হোসেনে পুত্র প্রবাসী জমির উদ্দিনের বাড়ীতে অফিস ভাড়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ওই কথিত সমাজ কল্যান সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জমির উদ্দিনের বাড়ীর সামনের গেইটে সংস্থার একটি সাইনবোর্ডও টাঙ্গানো হয়েছিল। তবে পেকুয়া সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এ ধরনের কোন সংস্থা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেননি। বাইরের জেলার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গত কয়েক মাস পূর্বে পেকুয়ায় এসে জমির উদ্দিন বাড়ীতে অফিস খুলে মগনামা, উজানটিয়া ও টইটং ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক নারীপুরুষকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে জামানত হিসেবে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।
গ্রাহকেরা সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার আশায় ওই ভূঁয়া সংস্থার কর্মকর্তাদের জামানত দিয়েছিল। মগানামা ইউনিয়নের বাইন্যা ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা ও ওই সংস্থা কর্তৃক প্রতারণার শিকার কয়েকজন লোক জানান, ওই সংস্থার কর্মীরা উপজেলার টইটং ইউনিয়নসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ সদস্য নিয়ে একেকটি সমিতি গঠন করে। এ সময় স্বল্প সুদে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বলে চার হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিক টাকা হক (সদস্য) সঞ্চয় নিয়ে আসে। তবে তারা ওই সংস্থার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম জানা যায়নি। এ বিষয়ে জানার জন্য বাড়ীর মালিক জমির উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করেন।
অপার প্রান্ত থেকে তিনি জানান, তাদের কাছ থেকে সমাজ কল্যাণ সংস্থার লোক বলে তারা ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা কোথায় তা তারা জানেন না। এদিকে গ্রাহকের টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় কথিত সমাজ কল্যাণ সংস্থার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাক্ষাৎ না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।
Posted ১০:৫৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৮ জুলাই ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh