বৃহস্পতিবার ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম
বর্ষায় জনদূর্ভোগ ঘুচবে কবে ?

পাওয়ার হাউজ, মেডিকেল কলেজ এলাকায় সওজের ড্রেন ‘ হয়েও হলো না শেষ’

  |   সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাওয়ার হাউজ, মেডিকেল কলেজ এলাকায় সওজের ড্রেন ‘ হয়েও হলো না শেষ’

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রায় ৮’শ ফুট প্রস্তাবিত ড্রেনের মধ্যে ৬’শ ফুটের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে অনেক আগেই। কিন্তু ড্রেনের কোন কানেকটিং নেই। মাত্র শ’দুয়েক ফুট ড্রেন নির্মাণ না করায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে কয়েক ফুট পানিতে প্লাবিত হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঝিলংজার পাওয়ার হাউজস্থ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ, কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজ গেইট ও তার আশপাশ এলাকা। শুধু তাই নয়- প্রতি বর্ষায় উপর থেকে ধেয়ে আসা পানিতে কয়েক ফুট পানিতে প্লাবিত হচ্ছে প্রধান সড়কসহ পাওয়ার হাউজ এলাকার অধিকাংশ দোকান-পাট। ফলে সওজের পরিকল্পনা অসমাপ্তির কারণে ‘হয়েও হলো না শেষ’ এর দশা হয়েছে। সহসা প্রধান সড়কের দক্ষিণ পাশে ঝিলংজার খাদ্য গুদাম এলাকা থেকে নির্মিতব্য অসম্পূর্ণ ড্রেনটি জানারঘোনা ছড়ায় কানেকটিং করা না গেলে জনদূর্ভোগ ভয়াবহরুপ ধারণ করতে পারে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়-বর্ষা মৌসুমে উপর থেকে ধেয়ে আসা পানির সুষ্ঠ নিষ্কাশনের জন্য কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ বিগত ২০১৭ সালে মহা-সড়কের দক্ষিণ পাশে ঝিলংজার খাদ্য গুদাম এলাকা থেকে পূর্ব দিকের জানারঘোনা ছড়া পর্যন্ত ১০ ফুট প্রশস্থ ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। যথারীতি প্রায় ৮’শ ফুট লম্বা ড্রেনটির পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ছোট কালভার্টসহ অন্তত ৬’শ ফুট নির্মাণ কাজ শেষ করে সওজ। বাকী থাকে কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের পশ্চিম অংশ থেকে জানারঘোনা ছড়া পর্যন্ত আনুমানিক দু’শ ফুটের সামান্য ড্রেন নির্মাণ কাজ। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ দু’বছরেও অসমাপ্ত ড্রেনের বাকী অংশ নির্মাণে হাত দেয়নি সওজ। ফলে প্রতি বর্ষায় মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার হাউজ এলাকা ও কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজ রোড ৩/৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। আর কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের শত-শত ছাত্র/ছাত্রীদের কলেজে যাতায়াত করতে হয় কয়েক ফুট ঢলের পানি মাড়িয়ে। যার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমের দূর্ভোগের আগাম আশংকায় মেডিকেল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীসহ স্থানীয় সচেতন মহল শংকিত হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী কাদের গণি জানান- কক্সবাজার কর্মস্থলে আমি নতুন। বর্ষা মৌসুমে পাওয়ার হাউজ এলাকায় পানি দূর্ভোগের কথা শুনেছি। আশা করছি-জন গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সওজ কর্তৃপক্ষ অবশিষ্ট ড্রেন নির্মাণের কাজটি দ্রুত সম্পন্নে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
স্থানীয় সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ রশিদ মিয়া জানান-পাওয়ার হাউজ এলাকায় সওজ ড্রেন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজটি শেষ না করায় গেল বছর বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতেই মহা-সড়ক কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা দু’দিক থেকে আসা যান চলাচল বন্ধ থাকে। যে দূর্ভোগ চোখে না দেখলেই বিশ^াস করা যায় না। এদিকে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী টিংকু চাকমা আজকের দেশবিদেশকে জানান, সড়কটি চার লাইনে উন্নীত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এজন্য আগের ড্রেনটির পুরো অংশের কাজ বাস্তবায়ন করা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।

Comments

comments

Posted ১:১৮ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com