টেকনাফ, সাংবাদদাতা | মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮
টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে আবারো আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বশস্ত্র দু‘দল ডাকাত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় সাধারণ রোহিঙ্গারা আতংকিত হয়ে উঠেছে। জানা যায়, ২৫জুন রাত পৌনে ৮টারদিকে টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের ছমুদা পাহাড় সংলগ্ন এলাকার স্বশস্ত্র ডাকাত মোঃ হাশিম গ্রুপ এবং নুরুল আলম গ্রুপের মধ্যে অস্ত্র বাণিজ্য, ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ করে মুক্তিপণ বাণিজ্যসহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নুরুল আলম গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডা হাসান গুলিবর্ষণ করলে প্রতিপক্ষও গুলিবর্ষণ করে। উভয়পক্ষ ৬/৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে আতংক সৃষ্টি করে। এতে হাশিম ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ-বিজিবির বিশেষ দল অভিযানে গিয়ে গুলিবিদ্ধ কোন লোকজনের সন্ধান পায়নি। আতংকিত রোহিঙ্গাদের শান্ত করে চলে আসেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা নেতা ইয়াছিন বলেন, ভাই স্বশস্ত্র গ্রুপের কারণে আমরা সাধারণ রোহিঙ্গারা চরম আতংকে আছি। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে সকলের সজাগ থাকা দরকার। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আইসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোলাগুলি ও আহত হওয়ার কোন ধরনের লক্ষণ পায়নি। তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের শান্ত করে চলে আসি। এদিকে একাধিক সুত্রের দাবী রঙ্গিখালী, আলীখালী, লেদা-মোচনী ও জাদিমোরা এলাকার চিহ্নিত কিছু ইয়াবা চোরাকারবারী এবং স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ মিলে রোহিঙ্গা অপরাধীদের সাথে মিলে ইয়াবা চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অবৈধ অস্ত্রের মওজুদ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্য চালিয়ে আসছে।
তাদের মধ্যে গ্রুপিং হওয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সময় এই ঘটনা ঘটে আসছে। আর এসব কাজের ইন্দনদাতা হিসেবে টেকনাফের বনদস্যু হিসেবে খ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিমের নিয়ন্ত্রণে এসব রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে সম্পৃক্ত বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
Posted ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh