শহীদুল্লাহ্ কায়সার | মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
মায়ানমার থেকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রয়েছে। এদেশে পাচারকালে ২৭ অক্টোবর ইনানীর পাটুয়ার টেক সংলগ্ন সমুদ্রে থাকা ট্রলার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান আটক করলো র্যাব-৭। এ সময় ৮ লাখ পিস ইয়াবা ছাড়াও পাচারে ব্যবহৃত ট্রলার জব্দ করা সহ ১ পাচারকারীকে আটক করা হয়।
আটককৃত ইয়াবা পাচারকারীর নাম জামাল হোসেন। ২৫ আগস্টের পর সামরিক জান্তার রোহিঙ্গা নিধন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে সে এদেশে প্রবেশ করে। সে টেকনাফ উপজেলার উনচিপ্রাং অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অধীনস্ত ২২ নং ক্যাম্পের ব্লক -ডি (২) এর বাসিন্দা মোঃ হোছেন এর পুত্র।
আটককৃত ইয়াবাগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে মায়ানমার থেকে ট্রলারে করে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বঙ্গোপসাগরে নৌযান চলাচলে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই চলেছে এই পাচার কাজ।
র্যাব-১৫ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর গভীর রাতে ইয়াবাগুলো ট্রলারে করে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পারে র্যাব কার্যালয়। ওই দিন রাত পৌনে ১২ টার দিকে র্যাব সদস্যরা উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের হোটেল রয়েল টিউলিপ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে পাটুয়ার টেকে অবস্থান নেন। ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা ট্রলার ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালানোর সময় র্যাব সদস্যরা এক পাচারকারীকে ধরতে সক্ষম হলেও ৪ থেকে ৫ জন পাচারকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর পাচারে ব্যবহৃত ট্রলারে অভিযান চালিয়ে পাওয়া যায় বিপুল সংখ্যক ইয়াবা। পরে গণনা করে ৮ লাখ পিস্ ইয়াবার বিষয়টি নিশ্চিত হন র্যাব সদস্যরা।
এদিকে, বিপুল সংখ্যক ইয়াবা আটকের পর গতকাল ২৮ অক্টোবর এক প্রেসব্রিফিং এর আয়োজন করে র্যাব-১৫। বেলা ১২ টায় বিসিক শিল্প নগরীর র্যাব কার্যালয়ে এই প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয় ।
এ সময় র্যাব-১৫ এর সহ -অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, আটককৃত ইয়াবাগুলো মায়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে পাটুয়ার টেক পর্যন্ত পৌঁছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত পাচারকারী ইয়াবা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
বঙ্গোপসাগরে বেসরকারি নৌ-যান চলাচলে কিভাবে বিপুল সংখ্যক ইয়াবা ট্রলারযোগে পাটুয়ারটেক পর্যন্ত এলো। এতে টেকনাফে অবস্থানকারী আইনÑশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাফেলতি রয়েছে কি? এমন প্রশ্ন করা হলে মেজর রবিউল ইসলাম এই বিষয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গাদের অপরাধ দমনে র্যাবের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকাত দমনে ড্রোন এর ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামি মাসের প্রথম সপ্তাহে হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু দমনে মহেশখালীতে স্থাপন করা হবে র্যাবের কোম্পানি ক্যাম্প।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ অক্টোবর থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। আগামি ৩১ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সরকারি নৌযান ছাড়া সব ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
দেশবিদেশ/নেছার
Posted ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
dbncox.com | ajker deshbidesh