দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে আওয়ামী লীগ। মাঠে-ময়দানে পোস্টারিং, মাইকিং ও নির্বাচনী সভায় ব্যস্ত সময় পার করছে দলটির প্রার্থীরা।
তবে এ ক্ষেত্রে ‘পিছিয়ে’ বিএনপি। তারা মাঠে ময়দানে পোস্টারিং, মাইকিং আর নির্বাচনী সভায় নেই! ধানের শীষের প্রার্থীরা ডোর টু ডোর মানুষের কাছে যাচ্ছেন। ভোট চাইছেন, আর ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন।
এ বছরের শুরুতেই সিলেটে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
অবশ্য তফসিল ঘোষণার পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এরপর শুক্রবার ঢাকায়, শনিবার সিলেটে জনসভা করেন শেখ হাসিনা। তার প্রতিটি সভায় জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। রোববার রংপুরে ও সোমবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচরেও নির্বাচনী সভা করবেন শেখ হাসিনা। সেখানেও বিপুল জনসমাগমের টার্গেট মহানগর আওয়ামী লীগের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও দলটির শীর্ষনেতারা সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন আসনে যাচ্ছেন সফরে। যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ নানা সংগঠনও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ভোট চাইছেন। ঘুম নেই খোদ প্রার্থীদের। তারা নির্বাচনী সভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের সভা-মিছিলে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।
অবস্থাদৃষ্টে আওয়ামী লীগের নেতারাই বলছেন, ‘নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে, জয় সুনিশ্চত।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সারা দেশে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। নৌকার জয় সুনিশ্চিত। আমরা আবারও সরকার গঠন করে আপনাদের সেবা করব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যেখানে যাচ্ছি সেখানেই ধানের শীষ নৌকায় উঠতেছে। সারা বাংলায় ধান কেটে কেটে নৌকায় তোলা হচ্ছে। সারা দেশে তলে তলে ধানের লোকেরা আওয়ামী লীগের হাত ধরে নৌকায় উঠে যাচ্ছে।’
এদিকে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং বিরোধীজোট ঐক্যফ্রন্ট বেশ ‘নীরব’। জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এখনো দলের হাইকমান্ডের মনও বুঝতে পারেননি। কী করতে চান হাইকমান্ড, আর কী করবেন প্রার্থীরা! দলের চেয়ারম্যান নিজেই নাই মাঠে। তারপরও প্রার্থীরা নিজেদের মত প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অপরদিকে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা স্বল্প পরিসরে সফর করলেও আওয়াজ নেই বিএনপির। সভা-পোস্টারিং আর মাইকিংয়ে না থাকলেও ধানের শীষের প্রার্থী ও তাদের লোকজন ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের চাওয়া, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের মানুষের অধিকার সমুন্নত লাখতে ধানের শীষে একটি ভোট। শুধু ভোটই নয়, তারা চান ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরতে। এজন্য মাঠে জনসভা-মিছিল এড়িয়ে তারা ঘরে ঘরে যাচ্ছে। আর আগের দিন রাত ও ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন তারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন।
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, ‘তারা ভোট চুরিতে উস্তাদ। ভোটের আগের দিন থেকেই কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। আর সকাল সকাল ভোট দিয়ে সারাদিন ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরবেন।’
বিএনপির এই নেতার একটি ভিডিও ক্লিপ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নতুন ভোটারদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনিয়ে তিনি তাদের কাছে একটি দিন চেয়েছেন।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা নয় মাস যুদ্ধ করেছি একটি স্বাধীন দেশ পাবো বলে। সেসময় অনেকের অনেক বিশ্লষণে কান দেইনি। শুধু একটি স্বপ্নকে তাড়া করেছি। আমরা আমাদের স্বপ্নে সফলও হয়েছি। তোমাদের সামনে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ। ৩০ ডিসেম্বর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। শুধু তাই নয়, ভোট চুরি প্রতিরোধে আগের রাত থেকে কেন্দ্র পাহারাও দিতে হবে।
নির্বাচনী এই প্রচারণা কৌশলে কে হবে লাভবান? এমন প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
Posted ১:২৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh