লিটন কুতুবী, কুতুবদিয়া | রবিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৮
কুতুবদিয়ার ১৭ জেলে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ফিশিং ট্রলারসহ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জেলেদের নয় দিন পর সন্ধান মিলে ভারতীয় কারাগারে। গভীর বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন এলাকায় ট্রলারটি মাছ ধরারত অবস্থায় হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ঐ সময়ে ১৭জেলে নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করে ভারত উপকূলে অনুপ্রবেশ করে। সে দেশের (ভারত) একটি ফিশিং ট্রলার তাদের উদ্ধার করে মাতলা নদীর উপকূলে নিয়ে গেলে ট্রলারের মালিক ভারতের ২৪ পরগানার কুলতলি থানায় ট্রলারসহ ১৭ জেলেদের সোর্পদ করে। বর্তমানে জেলেরা কুলতলি থানা হেফাজতে কারাগারে রয়েছে। স্থানীয় লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আলহাজ আকতার হোছাইন জানান , কুতুবদিয়া উপকূলের লেমশীখালী ইউনিয়নের করলাপাড়ার বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের মালিকানা এফ.বি আবদুল জব্বার শাহ ( বাংলাদেশ নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর-রেজিষ্ট্রেশন নং-৪৮২৫) ফিশিং ট্রলারটি ১৭ জেলে নিয়ে গত ৮ আগস্ট সকালে কুতুবদিয়া উপকূল থেকে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্য যায় বলে ট্রলার মালিক মোজাম্মেল হক তাকে নিশ্চিত করেন।
ট্রলার মালিক মোজাম্মেল হক জানান,বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরারত অবস্থায় গত ১২ আগস্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে পার্শ¦বর্তী উপকূলে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন থেকেই জেলেরা সাগরে ভাসতে থাকে। ঐ ট্রলারের সাথে মাছ ধরতে যাওয়া অন্যান্য ফিশিং ট্রলারগুলো গত ১৩ আগস্ট রাতে কুতুবদিয়া উপকূলে ফিরে এসে এফ,বি আবদুল জব্বার শাহ ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসছে বলে এলাকায় প্রকাশ করে। তখনই তিনি (ট্রলার মালিক) বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ১৪ আগস্ট বিকালে ভারতীয় নাগরিক জনৈক লাল মোহন দাশের মোবাইলের ০০১৯১৭৬৯৯৯১২০৭৮ নাম্বার থেকে (এফ,বি আবদুল জব্বার শাহ ফিশিং ট্রলারের) মাঝি মামুনর রশিদ ( ট্রলার মালিক মোজাম্মেল হককে) মুঠোফোনে তারা ভারতে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন। মাঝি মামুনর রশিদ মুঠোফোনে মালিককে জানান, বঙ্গোসাগরের সুন্দরবন এলাকায় ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ঐ সময়ে বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ার ফলে অন্যান্য ট্রলারগুলো উপকূলে ফিরে যায়। তখন থেকেই তারা সাগরে ভাসতে থাকে।
এক পর্যায়ে তারা ভাসতে ভাসতে ভারত সাগরে অনুপ্রবেশ করে। ঐ দেশের একটি ফিশিং ট্রলার তাদেরকে উদ্ধার করে ভারতের স্থানীয় থানায় সোর্পদ করে। জেলে নিখোঁজের ব্যাপারে ট্রলার মালিকের ছেলে মোঃ আজম গত ১৪ আগস্ট/১৮ কুতুবদিয়া থানায় ৪৪২নং সাধারণ ডায়েরী করেন। ভারতে আটক জেলেরা হলেন, উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের তেলিয়া পাড়ার,আবু তাহেরের ছেলে মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩৮) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের তেলিয়াকাটার মৃত নজির আহমদের ছেলে নুরুচ্ছাফা (৫৬) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের তেলিয়াকাটার গোলাম রহমানের ছেলে আবদু শুক্কুর (৪১) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের নুরজানির বাপের বাড়ির মৃত বজল কিমের ছেলে আবদুল করিম (৫৬) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের দক্ষিণ বাকখালী পাড়া মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নুরুল হোছাইন (৩৮) উত্তর লেমশীখালী উখিল আহমদের ছেলে আবদুল মালেক (৩০) লেমশীখালী পেয়ারাকাটা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মনির উল্লাহ (৩৬) লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রফিক উদ্দিন (৪০) লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামের আমির হোছনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৬) উত্তর লেমশীখালীর হাছান শরীফের ছেলে রাহমত উল্লাহ (৩১ লেমশীখালী ইউনিয়নের মশরাফ আলী সিকদার পাড়ার মৃত গুনমিয়ার ছেলে নুরুল আবছার (৪৬) লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে আবদুল মোনাফ (৪১) লেমশীখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিমের ছেলে মোঃ এমরান (২৩) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের তেলিয়াকাটা গ্রামের মৃত নুর তানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২১) লেমশীখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নুরুল হোছাইনের ছেলে মোঃ মামুনর রশিদ (৩২) লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাটাকা গ্রামের বারেক উল্লাহ ছেলে সাইদুল ইসলাম (২০) উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আলমের বাড়ির নুরুল আলমের ছেলে রবিউল বশর (২৮)। বর্তমানে কুতুবদিয়া উপকূলের ১৭ জেলে ভারতের কারাগারে আটক আছে।
দেশবিদেশ /১৯ আগস্ট ২০১৮/নেছার
Posted ১:২৩ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৯ আগস্ট ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh