মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন,মহেশখালী | মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটায় শুরু হতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নের কাজ। তাই ওই ইউনিয়নের বেগুনবনিয়া বেড়িবাঁধে দীর্ঘদিন ধরে বসাবাসরত ১৭ টি পরিবার উচ্ছেদ হওয়ার ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বাপদাদার ভিটা মাটি ছেড়ে চলে যেতে হবে অজানা কোন স্থানে।
প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার প্রস্তুুতি শুরু কিন্তু পূর্নবাসনের কোন খবর নেই। এমন অবস্থাতে প্রতিদিন স্থানীয় ইউপির অভিভাবক চেয়ারম্যান কামরুল হাসানকে ঘুমাতে দেন না ১৭ পরিবারের নারী পুরুষ ।
তাই ১২ নভেম্বর সকালে ওই গ্রামে গিয়ে তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনেন। উচ্ছেদ আতংকে এসব পরিবার অজানা ভয়ে নির্ঘুম রাত যাপনের কথা শুনান তাদের অভিভাবককে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবীর হোসাইন বলেন, ধলঘাটার দরিদ্র ১৭ পরিবারকে উচ্ছেৎ করার আগে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন করতে হবে। নতুবা বিষয়টি অমানবিক হবে।
মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন বলেন উচ্ছেদ করার আগেই পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে নতুবা মাতারবাড়ীর ৪৫ পরিবারের মত পথে পথে ঘুরতে হবে।
ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, সরেজমিন ওই এলাকায় গেলে উচ্ছেদ আতংকে থাকা ১৭ পরিবার তাদের সুখ দুঃখের কথা বলেন।
অবশ্যই তারা বলার আগেই আমি তাদের পক্ষ হয়ে সংসদ সদস্য, বেজা কতৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক সহ সবাইকে আবহিত করেছি। তারা ক্ষতিপূরণসহ পূর্নবাসন করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছি।এর পরেও ১৭টি পরিবারের মাঝে অজানা ভয়ের চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও জানান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের কারণে কোন পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে পূর্নবাসন করবে সরকার।
আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনাধীন রেখেছে বলতে পারেন তাদের দাবী পূরণ করবেন।
ছবিঃমহেশখালীঃ ধলঘাটায় উচ্ছেৎ আতংকে থাকা ১৭ পরিবারের দুঃখের কথা শুনে শান্তনা দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান। জড়িত ছিলাম না। আমি কোনদিন এই কারবার করিনি। সাংবাদিকরাই আমাকে ইয়াবা কারবারি হিসাবে দেশে-বিদেশে পরিচয় করে দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এই ইয়াবা কারবারি এখন দলীয় মনোনয়ন নিতে গিয়ে অনেকটাই হেয় হয়ে পড়ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। কেন্দ্রীয় নেতারাই বলছেন-এই ইয়াবা দেশের ভাবমুর্তি, জাতির ভাবমুর্তি এবং সর্বোপরি দলের ভাবমুর্তি ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। এমনকি টেকনাফ সীমান্তের মরণ নেশা ইয়াবা বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেও।
গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার একটি অফিসে কেন্দ্রীয় নেতারা এই তালিকাভুক্ত কারবারিকে ইয়াবার মরণদশা নিয়ে জানতে চাইলে কারবারি বলেন-‘লীডার আমাকে সাংবাদিকরাই কলংকিত করে দিয়েছেন। বিশেষ করে দু’টি পত্রিকার কক্সবাজারের সাংবাদিকদ্বয় আমাকে নিয়ে লিখতে লিখতেই আজ আমার এমন দশা হয়েছে।’ বিষয়টি যেন উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।
Posted ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh