দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত।
ঋণ আদায় করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের একজন ছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। খবর বিবিসি।
বিবিসি খবরে বলা হয়েছে, স্কটল্যান্ডের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ঋণ পরিশোধ না করায় চরম আর্থিক সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। একপর্যায়ে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০১২ সালে যুক্ত্রাজ্যের স্কটল্যান্ডেপ্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির ছয়জন পরিচালকের একজন ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস, যেটি যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ হিসাবেই বিবেচিত হয়ে আসছিল।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য ছিল, সেখানকার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া লোকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করা। কিন্তু ৪ বছর পর উল্টো প্রতিষ্ঠানটি দেওলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেল।
২০১২ সালের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি একহাজার মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে। তাদের অনেকে ঋণ নিয়ে আর শোধ করেনি বলে খবরে বলা হয়েছে। তাই একপর্যায়ে দেওলিয়া হয়ে পড়ে।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন আর্থিক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি এখন সেটির সম্পত্তি বিক্রি করে যতটা সম্ভব দেনার বন্দোবস্ত করবেন।
প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি ও দেনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়া ডানকান এলএলপির কর্মকর্তা, ব্রায়ান মিলনে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ঋণ গ্রহীতাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় তিন লাখ পাউন্ডের (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা) ঋণ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ধসের কারণ হচ্ছে যে, অনেক ঋণ গ্রহীতা তাদের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সেটির আর্থিক অবস্থার ওপর বড় প্রভাব পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হয়ে পড়ায় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলার আবেদন করেছেন পরিচালকরা।
Posted ৮:৫৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh