বার্তা পরিবেশক | সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো: আশরাফুল আফসার, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট একেএম আহমদ হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ (সিআইপি), মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: শাহজাহান, চকরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম,সহকারী সিভিল সার্জন ডা: মহিউদ্দিন মো: আলমগীর,জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মত সনাতন এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উৎসব পালনে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানে সদয় অনুমতি দিয়েছেন। বরাদ্দ এখনও আসেনি ( রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) আসলেই তা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিতরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি এ বিষয়ে জানান, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সনাতন ধর্মালম্বী ১২,৫০০ জন এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বী ৪,৫০০ জন মোট ১৭ হাজার জনের মাঝে প্রত্যেকে তিন হাজার টাকা করে সর্বমোট ৫ কোটি ১০লাখ টাকা অনুদানের আবেদন করা হয়েছিল যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট। পাশাপাশি সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা সুষ্ঠ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই মাসে নয় সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের অনুমতি আগামী মাস থেকে দেয়া হতে পারে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান প্রতিরোধে টাস্কফোর্সের অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমনে জেলা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্টদের সামাজিকভাবে বয়কট করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজা এবং বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা সুষ্ঠ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হবে। তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেহ যাতে অস্থিরতা ব গুজবের সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে সর্বদা নজরদারী রয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, শহরের সড়কগুলোতে সাধারণ জনগণের চলাচল নিস্কন্টক হওয়া চাই। নৌ-ডাকাতি বন্ধে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর টহল জোরদার করার পরামর্শ প্রদান করেন। মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও দমনে মাদক বিরোধী সমাবেশ বৃদ্ধি করার সুপারিশও করেন তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, শহরের যানজট নিরসনে পরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ময়লা ও আবর্জনা দ্রুততার সাথে সরাতে নতুন করে ভ্যান ও ট্রলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘোনাড়পাড়া এলাকায় অপরাধ দমনে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। শহরসহ সৈকত এলাকায় আলোকিত করণ বৃদ্ধি করা হবে।
এ ছাড়া সভায় জমি অবৈধভাবে দখল প্রতিরোধ,সন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সচেতনতাবৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ,সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জিন্নাত শহীদ পিংকি, সহকারি প্রোগ্রামার ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশবিদেশ /১৫ অক্টোবর ২০১৮/নেছার
Posted ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh