টেকনাফ অফিস | শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
টেকনাফে স্কুল দপ্তরীকে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী সাবেকুন্নাহার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে টেকনাফ থানায় উক্ত মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪১। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন গত ১৪ই অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তার স্বামী আব্দুর রশিদ হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলি আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে দায়িত্ব শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে দীর্ঘক্ষন বাড়িতে না পৌঁছায় মোবাইল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর চারদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে কানজর পাড়া এলাকায় নাফ নদীর চরে আইএমও’র লোগো লাগানো বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। আব্দু রশিদকে অজ্ঞাত খুনীরা গলা ও পায়ের রগ কেটে নৃশৃংশভাবে হত্যা করে। নিহত আব্দুর রশিদ হোয়াইক্যং দৈংগাকাটা এলাকার জাফর আলমের পুত্র। সে ৪ সন্তানের জনক ছিল।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সুব্রত রায়কে উক্ত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের সাথে নিহত দপ্তরী বিভিন্ন লেনদেনে জড়িত ছিলেন। সেইসব লেনদেনের বিষয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে কিনা মামলার তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হবে।
আলহাজ¦ আলী-আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা বলেন, স্টাফ হিসেবে সে খুব ভাল ছিল তার এই ধরনের নির্মম মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক।
এদিকে স্থানীয়দের ধারনা রোহিঙ্গারাই এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে। তাছাড়া আইএমও লোগো দেওয়া যে বস্তায় তার লাশ নাফ নদীতে পাওয়া গিয়েছে সেধরনের বস্তা আইএমও রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়ার সময় ব্যবহার করে থাকে। এটিও রোহিঙ্গাদের সন্দেহের অন্যতম কারন বলে জানান তারা।
Posted ৯:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh