দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক | রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো রবিবার। এখন চলছে গণণা। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২৫ শতাংশ ভোট গণণা শেষে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান প্রেসিডেন্ট পদে এবং তার জোট পার্লামেন্টে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এগিয়ে আছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে তুরস্ক প্রবাসী সাংবাদিক রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, ৪০ শতাংশ ভোটের হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এই পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররম ইনজে পেয়েছেন ২৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে ৩১.২৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোগানের দল একেপি ৪৭.৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর একেপির নেতৃত্বাধীন পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট। অপরদিকে বিরোধী জোট পেয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট।
এই নির্বাচনকে অত্যন্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে ফলাফলের উপর দেশটির ভবিষ্যত রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ভর করবে। প্রায় দেড় যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও তার দল একেপির জন্য এটিকে অগ্নি পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিবিসির জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এখনো ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তিনি চেয়েছিলেন, তার রাজনৈতিক বিরোধীরা যখন একটু অপ্রস্তুত অবস্থায় আছে তখনই নির্বাচন দিয়ে সহজে জিতে আসতে। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্বাচনী প্রচারণার সময় এমন কতগুলো পরিবর্তনের আভাস দেখা দিয়েছে যা এরদোগানের নিশ্চিত বিজয় নিয়ে একটা সংশয় তৈরি করেছে বলেই বিশ্লেষকরা বলছেন।
নির্বাচনী প্রচারের সময় দেখা গেছে, এরদোগানকে ঠেকাতে তার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়েছে। মধ্য-বাম জোটের প্রার্থী মুহাররম ইঞ্জের জনসভায় এত বিপুল লোকসমাগম হয়েছে- যা আগে কখনো দেখা যায় নি। তাই মনে করা হচ্ছে, এরদোগান এই প্রথমবারের মতো এবার বেশ শক্ত নির্বাচনী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তুরস্কের নির্বাচনে একই দিনে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে। নিয়ম হলো, যদি কোন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীই যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান তাহলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ হবে ১৫ দিন পরে।
এরদোগানের হাতে ইতোমধ্যেই বিপুল ক্ষমতা রয়েছে। এ নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি আরো ক্ষমতাধর হবেন। কারণ তিনি সংবিধানে যে সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন- তাতে প্রেসিডেন্ট পদটি আরো ক্ষমতাশালী হবে আর তুলে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রী পদ। প্রেসিডেন্ট নিজে ডিক্রি জারি করতে পারবেন, মন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা পাবেন। এই এজেন্ডার ওপরই এরদোগান ভোটারদের সমর্থন চাইছেন।
কিন্তু তার বিপক্ষের মত হলো, এরদোগান একজন একনায়ক হয়ে উঠেছেন, বিচারবিভাগকে হাইজ্যাক করেছেন এবং পশ্চিমের সাথে তুরস্কের সম্পর্ককে ধ্বংস করেছেন। তাই এরদোগানকে ঠেকাতে বিরোধীদলগুলো নতুন করে একজোট হয়েছে এবার। তারা মনে করছেন, এ নির্বাচনে তাদের হাতে পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে।
Posted ১১:১৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh