মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

তবুও সু চি’তেই আস্থা নিউ জিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের

দেশবিদেশ অনলাইন ডেস্ক   |   রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮

তবুও সু চি’তেই আস্থা নিউ জিল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সু চি’র অবস্থান এখনও পর্যন্ত অস্পষ্ট। ডি-ফ্যাক্টো সরকারের এই রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এ নিয়ে প্রকাশ্যে যা বলেছেন এ পর্যন্ত, তার সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অবস্থানের তেমন কোনও তারতম্য দেখা যায়নি। সু চি কখনও প্রকাশ্যে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করে ওই জনগোষ্ঠীর জাতিগত স্বীকৃতি দেননি। সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থাসহ জাতিসংঘের অনুসন্ধানে রাখাইনে সংঘটিত ভয়াবহ নিধনযজ্ঞ, গণহত্যা আর মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত উঠে এলেও শেষ পর্যন্ত একে তিনি ‘অতি কথন’ বা ‘বাড়াবাড়ি’ আখ্যা দিয়ে গেছেন। এর বিপরীত বাস্তবতাও রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে গত বছর সেপ্টেম্বরেই ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছিল, রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় সু চি’র হৃদয় ভেঙে গেছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে তার বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক ক্ষমতাশক্তির দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া গেছে।এক পর্যায়ে রাখাইনে বেসামরিক সরকারের ক্ষমতা বাড়ানোর খবরও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। সবশেষ একজন সাবেক বিবিসি সাংবাদিকের নিবন্ধে সু চিকে সেনাপ্রধান কর্তৃক অভ্যুত্থানের হুমকি দেওয়ার কথা উঠে এলেও মিয়ানমারের সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষ সে খবর অস্বীকার করেছে। তবে রাখাইন সংকট নিরসন প্রশ্নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কথা আর অস্পষ্ট নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাই সবকিছুর পরও সু চিকেই বেছে নেন, সংকট উত্তোরণের পথ খুঁজতে।

মিয়ানমারে নিয়োজিত নিউ জিল্যান্ডের দূত স্টিভ মার্শালের ক্ষেত্রে সু চি’র প্রশ্নটি আরও আলাদা। প্রথমত আইএলও’র কর্মকর্তা হিসেবে এবং পরে রাষ্ট্রদূত হয়ে মিয়ানমারে বাধ্যতামূলক শ্রম নিষিদ্ধ করা এবং দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তোরণের জন্য দীর্ঘদিন সু চির সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। কথিত ওই গণতন্ত্রপন্থী নেত্রীকে বন্ধুই মনে করেন তিনি। মতের অমিলও যেমন রয়েছে দুইজনের মধ্যে, তেমনি রয়েছে মিলও। সু চির মতো তিনিও মনে করেন, বহিরাগতভাবে চাপ প্রয়োগ করে নয়, অভ্যন্তরীণভাবেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তারা দু’জনই মনে করেন রাখাইন সংকট নিরসনে যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেখানে অবরোধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে তা সেনাকর্তৃত্ব বিস্তৃতির পথ করে দেবে। এই কূটনীতিকের অবস্থান অনুযায়ী, একমাত্র সু চির হাতেই রয়েছে সংকট সমাধানের অস্ত্র। রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় তিনি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন মার্শাল।

২০১৬ সাল থেকে মিয়ানমারে নিউ জিল্যান্ডের দূত হিসেবে নিয়োজিত আছেন স্টিভ মার্শাল। তবে আগে থেকেই মিয়ানমারে পরিচিত মুখ তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর হয়েও প্রায় দশ বছর মিয়ানমারে লিয়াজোঁ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন মার্শাল। কঠোর সেনা শাসনে পরিচালিত দেশটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর সংবাদদাতাদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন। প্রায় ১ হাজার শিশু সেনাকে সেনাবাহিনী থেকে বের করে আনতে সহযোগিতা করেছিলেন মার্শাল। একটা সময় পর্যন্ত মিয়ানমারে প্রায়শই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে থাকতে হতো স্টিভকে। সেনাবাহিনীর তেমন একটা পছন্দের মানুষ ছিলেন না তিনি। তারা চাইতো না, স্টিভ ওই কূটনৈতিক পদটিতে বহাল থাকুক। তবে শিশু সেনাদের মুক্ত করার পর থেকে অবশ্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের বাস্তবতা আর থাকেনি। ঘটনার পর নিউ জিল্যান্ডের স্বার্থ সুরক্ষায় তিনি মনোনিবেশ করেছেন অস্থিরতার কারণে কোনঠাসা হয়ে পড়া দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডের দিক থেকে সহায়তা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

 বলা চলে, প্রায় গত সাত দশক ধরেই মিয়ানমার অবিরতভাবে গৃহযুদ্ধের মধ্যে আছে। দেশের ১৩৫টি জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে আস্থার সংকটকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি বিরাজমান আছে। এরমধ্যে গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে থাকে মৌসুমী বাতাসে। মানবাধিকার সংগঠনের স্যাটেলাইট ইমেজ, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন আর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে শূন্যে ছুড়তে থাকে সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে। এমন বাস্তবতায় নিধনযজ্ঞের বলি হয়ে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পালিয়ে আসতে না পারা প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা এখন অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত। তারা রয়ে গেছেন রাখাইনে নির্মিত ক্যাম্পে। জাতিসংঘ বেশ কিছুদিন আগেই জানিয়েছে, তাদের অবস্থা বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের থেকেও খারাপ। গত মাসে নিউ জিল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্টাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার প্রশ্ন, আইনের শাসন ও  অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের ক্যাম্প বন্ধ করা প্রশ্নে কথা বলেছেন মার্শাল। ক্যাম্প বন্ধে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা উঠলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ক্যাম্পগুলোকে বন্ধ হতে হবে। তবে ক্যাম্পগুলো বন্ধ করার সময়টা সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন একটি ক্যাম্প বন্ধ করে দেবেন, তখন সেসব মানুষকে গ্রহণ করার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর আমাদের উদ্বেগটা এখানেই।’

দুই ধরনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সু চির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হয়েছে তাকে। ২০১২ সালে তিনি যখন আইএলও কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন, তখন জেনেভায় গিয়েছিলেন সু চি। শ্রম সুরক্ষায় একটি আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ২০১৫ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলক শ্রম বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সু চি। গণতান্ত্রিক উত্তোরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার জারিকৃত কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল সে সময়। রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্শাল যখন মিয়ানমারে দায়িত্ব পালন করছেন, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তোরণ প্রক্রিয়ায় নিউ জিল্যান্ড তখন বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। স্টাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্শাল জানিয়েছেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও সু চির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বেশ কয়েক বছর একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সু চিকে বন্ধু বলেই মনে করেন তিনি। মার্শাল স্টাফকে বলেন, ‘এমন অনেক ক্ষেত্র আছে যেগুলোতে তার কৌশলের সঙ্গে আমার কৌশল ও বিশ্বাসের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। আমরা অনেক কিছুতেই একমত হই না। কিন্তু এতটুকু ঠিক আছে।’ যে বিষয়ে তাদের ঐকমত্য হয়ে থাকে তা হলো: দেশটিতে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপের প্রভাব কী হবে তা নিয়ে।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে জবাবদিহি না থাকার ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যেকোনও ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড সংঘটনের দায় অস্বীকার করতে দেখা গেছে। সু চিও এ নিয়ে প্রায় নীরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। গত বছর অক্টোবরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাখাইনে শান্তি ফেরানোর ব্যক্তিগত উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সেই অক্টোবর থেকেই সামরিক বাহিনীর নিধনযজ্ঞ নিয়ে নীরবতা, হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়া সু চি একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ঘটনা নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিতে বাধ্য হন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যখনই অবরোধ আরোপের হুমকি এসেছে, সু চি সবসময়ই বলে এসেছেন, নিষেধাজ্ঞা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব বাড়ানোর শর্ত তৈরি হবে এতে। মার্শালের মতও সু চির মতোই। তিনিও মনে করেন, শাস্তি দিয়ে নয়, বরং অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপের মধ্য দিয়েই সংকট উত্তোরণ সম্ভব। স্টাফকে মার্শাল জানিয়েছেন, সু চির নেতৃত্বে একটি বিশ্বাসযোগ্য অভ্যন্তরীণ তদন্তের প্রচেষ্টার ‘দৃঢ় আলামত’ রয়েছে সেখানে।

পক্ষের কূটনীতিকরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, অং সান সু চি ব্যক্তিগতভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করলেও জনসমক্ষে বলতে পারেন না। কারণ, বৌদ্ধদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য বিদ্বেষ রয়েছে। তবে বিগত বছরগুলোতে তিনি তাদের রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকার করে নেননি। তাদের বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী আখ্যা দিয়েছেন। সু চি’র একজন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিপন্নতায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি ‘ভেঙে পড়েছেন’। রয়টার্সকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে গত বছরের অক্টোবরে সু চির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তা দেখে তিনি ভেঙে পড়েছেন। তিনি এ নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। আমি জানি, তার এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে আমি জানি, তিনি নিশ্চয় পরিস্থিতির উত্তোরণ ঘটাবেন।’ তবে তেমন পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এপ্রিলের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সেই সময় মিয়ানমারে ক্ষমতার পটপরিবর্তনে সু চির বেসামরিক সরকার শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সেই অবস্থান থেকেই ওই মাসের শেষে মিয়ানমার সফরে আসা ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদের ‌প্রতিনিধি দলকে নিধনযজ্ঞের তদন্ত আর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন। এপ্রিলের নিরাপত্তা বৈঠকে সু চি ঠিক কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। তবে সবশেষ ৮ জুন রাজধানী নেপিদোতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের এক সম্মিলিত বৈঠক হয়। থাইল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টে লেখা এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ল্যারি জ্যাগান দাবি করেন, সু চি কর্তৃক মিয়ানমারের সেনা নিধনযজ্ঞের তদন্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্ত করার আগ্রহে ভীষণ অখুশি ছিলেন সেনাপ্রধান। সু চিকে অভ্যুত্থানেরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে দৃশ্যমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। সবেমাত্র ৫০ বছরের সামরিক শাসন থেকে বের হয়ে আসা মিয়ানমার ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে করেন মার্শাল। তার মতে, সেখানে শান্তির সুরক্ষা প্রয়োজন। অবরোধ আরোপের মতো কঠোর অবস্থানের  প্রশ্নে মার্শাল সু চির কণ্ঠের প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা যদি এতটা কঠোর হই, তবে আমাদের আরও ক্ষতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ এর বিকল্প সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অং সান সু চির বন্ধু হিসেবে বলছি না, বাস্তবতা হলো: এ পরিস্থিতিতে তিনিই একমাত্র ভরসা।’

Comments

comments

Posted ১০:০১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com