মঙ্গলবার ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

তবুও আশংকা ‘পৌর ঠিকাদারির’!

  |   বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮

তবুও আশংকা ‘পৌর ঠিকাদারির’!

দেশবিদেশ রিপোর্ট
তারপরও ‘পৌর ঠিকাদারির’ আশংকা থেকে কক্সবাজার পৌরবাসী মুক্ত হচ্ছেন না। গতকাল নির্বাচন অনুষ্টানের পর ফলাফল ঘোষণাস্থলেও বেশ কিছু লোকজনের মুখে শুনতে পাওয়া গেছে এমনসব আশংকার কথা। এমনিতেই বছরের পর বছর ধরে কক্সবাজার পৌরসভায় নির্বাচিত পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘পৌর ঠিকাদারির’ অভিযোগ অনেক পুরানো। এমন প্রথার কারনে একদিকে স্থানীয় সরকারের এই ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্টানের কাজ নিম্নমানের হয়ে থাকে অপরদিকে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিও এলাকাবাসীর আস্থা হ্্রাস পেতে থাকে।স্থানীয় সরকারের বিধি অনুযায়ি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিজ প্রতিষ্টানে কোন লাভবান বাণিজ্য তথা ঠিকাদারি করতে পারেন না। কিন্তু বরাবরই কক্সবাজার পৌরসভার ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। প্রতিবারের নির্বাচনের সময় ঠিকাদারির অভিযোগের বিষয়টি সবার সামনে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও বাস্তবে ঠিকাদারি রুখে দেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে সন্মানিত নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বলেন-‘আমাদের নামে বা আমাদের কোন প্রতিষ্টানের নামে কোন ঠিকাদারি নেয়া হয়না। এসব অহেতুক সমালোচকদের মিথ্যা প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ বাস্তবে তলে তলে ঠিকই ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের সাথে বড় অংকের শেয়ার থাকে বেনামে। অতীতের পরিষদে এরকম অনেক তিক্ত ঘটনারও নজির রয়েছে।
এমনকি অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সে সময় অভিযোগ উঠেছিল-ঠিকাদারি কাজের বিল পরিশোধ না করায় হয় প্রকৌশলী নয়তো পৌরসভার প্রশাসনিক পদে থাকা কর্মকর্তারাও লাঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন। এমন অভিযোগও ছিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা করতেন যেনতেন ভাবে। পৌরসভা অফিসেও প্রকাশ্যে জানাজানি ছিল কোন কাজটি কার। এনিয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনার নজিরও রয়েছে। এমনকি এসব ঘটনা নিয়ে থানায় জিডি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
একজন জনপ্রতিনিধি যখন আর্থিক ফায়দার কাজে জড়িয়ে পড়েন তখন তিনি একপ্রকার লাগামহীন হয়ে পড়তেও বাধ্য হন। কেননা তিনি নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। তার কাজ হবে নির্ভুল-এমনই দাবি থাকে তার নিজের। আবার একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাজে কেউ ভুল ধরবেন সেটাও তখন তিনি সহ্য করতে চান না। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধির কাজ যতই নিম্নমানের হোক না কেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরাও ভয়ে তটস্থ থাকেন। কাজ যেমন হবে হোক না কেন বিলও ঠিকই পরিশোধ করা হয়। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে কক্সবাজার পৌরসভাটি।

দেশবিদেশ /২৬ জুলাই ২০১৮/নেছার

Comments

comments

Posted ১:১২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই ২০১৮

dbncox.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়
প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত
ফোন ও ফ্যাক্স
০৩৪১-৬৪১৮৮
বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন
01870-646060
Email
ajkerdeshbidesh@yahoo.com