প্রেস বিজ্ঞপ্তি | মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 33 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
চট্টগ্রামের খুলশীতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সিএমপির উত্তর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলামকে অব্যাহতি প্রদানের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ। অন্যথায় জনতাকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন তারা।
যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত ও ক্যামােরাপার্সন আসাদুজ্জামান লিমনের ওপর সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলামের ঘৃণ্য হামলা এবং এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদসহ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কক্সবাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
যমুনা টেলিভিশনের কক্সবাজারের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এহসান আল কুতুবীর সভাপতিত্বে ও বাংলা টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি আমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কোনো সরকারের আমলে সাংবাদিকরা স্বাধীন নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে কলম ধরলেই হামলা, মামলাসহ নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হচ্ছে। সদ্য ঘটে যাওয়া দু’টি ঘটনা তার অনন্য প্রমাণ।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মনে করেছিলাম মুক্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা করা যাবে। কিন্তু, সারাদেশে যে পরিমাণ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে তা কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না এ সরকার। এ সরকারের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে এখনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও বেনজির আহমদের দোসররা লুকিয়ে আছে। আর তারাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার চেয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় স্পষ্ট করছে। এসব পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সিএমপির ডিসি আমিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অব্যাহতি প্রদানসহ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানান। অন্যথায় জনতাকে সাথে নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে সাংবাদিক সমাজ।
এ সময় সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে হামলার শিকার এখন টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদসহ সারাদেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলা, নির্যাতন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু, সাংবাদিক নেতা নুরুল আমিন হেলালী, দৈনিক কক্সবাজার সংবাদের সম্পাদক আমান উল্লাহ, দৈনিক খোলা কাগজের কক্সবাজার প্রতিনিধি নেজাম উদ্দিন, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম নুরী, ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা, শাহিদুল ওয়াহিদ শাহেদ, খালিদ বিন সাঈদ, তাশদীদ উর রেজা চৌধুরী, কক্সবাজার ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রাজিব কান্তি দে বাবু, দৈনিক কালের কন্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি মিশু দাশ গুপ্তা, সাংবাদিক মাহবুব আলম মিনার প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক, রাজনীতিক, পেশাজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় কনসার্ট ঘিরে সংঘর্ষ-ভাঙচুরের পরদিন ১২ অক্টোবর সংবাদ সংগ্রহে খুলশী থানায় যান জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত। এসময় এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তিনি। কিন্তু থানার কর্মকর্তারা এ কাজে বাধা দেন। এসময় জোবায়েদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয় তাদের। এরই জেরে জোবায়েদ ও ক্যামেরাপার্সন আসাদুজ্জামান লিমনকে থানার সেকেন্ড অফিসারের রুমে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করেন নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আমিরুল ইসলাম।
ডিবিএন/জেইউ।
.
এ বিভাগের আরও খবর