দেশবিদেশ রিপোর্ট | শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮
কক্সবাজারে ট্রাফিক পুলিশের দাপটে কাহিল হয়ে পড়েছে পরিবহণ সেক্টর। মাসিক আর সাপ্তাহিক ‘চুক্তির টাকা’ দিয়েও নিস্তার মিলছে না পরিবহণ মালিকদের। অভিযোগ উঠেছে, যানবাহন চালকদের যখন তখন যাকে তাকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় ট্রাফিক সার্জেন্ট নামের দাপুটে ব্যক্তিরা। কথামত না গেলে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দেয়া হয়।
একদিকে চুক্তির টাকা পরিশোধ অন্যদিকে দাপুটে ব্যক্তিদের ফরমায়েশ খাটতে গিয়েই হয়রান হয়ে পড়ছেন যানবাহন মালিকরা। অথচ কক্সবাজারে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যেসব যানবাহন রয়েছে এসবের কোন একটি যানবাহনও ট্রাফিকের খপ্পরে পড়ার নজির নেই। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের আরো তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
কক্সবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে কয়েকগুন বেশী। এমনকি টেকনাফ-কক্সবাজারের শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কেও গত তিন বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শত শত যানবাহন। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া মানেই মাসিক আর সাপ্তাহিক ‘চুক্তির লাখ লাখ টাকা’র আয় বৃদ্ধি পাওয়া।
জানা গেছে, এক সময় কক্সবাজারের ট্রাফিক পুলিশের চাকুরি মানেই ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। ট্রাফিকে কোন ভাগ্যবানের বদলি হত না। যেন ‘ভাগ্যহীনদের অবস্থান হত এখানে। আর এখন কক্সবাজার ট্রাফিকে বদলি মানেই ভাগ্যবানদের স্থান পাওয়া।’ কক্সবাজার ট্রাফিকে যদি একবার বসা যায় তাহলে সেখান থেকে কেউ আর সরে যেতে চান না।
এখনও অনেকেই জানেন না কক্সবাজার ট্রাফিকের অভ্যন্তরে ভাগ্যবদলের চিত্র। এ চিত্র এখন বড়ই সুখখর। কেবল কয়েক হাজার সিএনজি চালিত ট্যাক্সি রয়েছে। সিএনজি চালিত ট্যাক্সিগুলোর মাসিক আর সাপ্তাহিক চুক্তিতে যা আসে কেবল সেই টাকায় জেলায় বড় ধরণের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও সমাধা করা যেতে পারে। এর পর রয়েছে শত শত যাত্রীবাহী বাস, মিনিবাস। রয়েছে ট্রাক, মিনি ট্রাক, ছারপোকা সহ বিপুল সংখ্যক ডাম্পারও। তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের চুক্তির আয় আসে বিদ্যুৎ চালিত ইজিবাইক বা টমটম গাড়ি থেকে।
এতদসত্বেও ট্রাফিক পুলিশের দাপুটে খাসিলত একটুখানিও হ্রাস পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। লাখ লাখ টাকার চুক্তি আদায়ের পরেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন একদম অদম্য। একটি সিøপ দেখিয়ে রিকুইজিশন করার নামে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের যত্রতত্র হয়রানির কারনে কক্সবাজারের যানবাহন মালিকদের এখন ত্রাহি অবস্থা। অথচ কক্সবাজারে পুলিশের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন যতগুলো যানবাহন রয়েছে এসব যানবাহনের একটিও কোন সময় রিকুইজিশনের আওতায় পড়ার কোন উদাহরণও নেই। কেবল সাধারণ মানুষের মালিকানাধীন যানবাহনগুলোই এমন খড়কের মুখে পড়ছে।
Posted ৯:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh