বৃহস্পতিবার ১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>
Advertisement Placeholder

টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে মাদকের দৌড় থামছেনা

জাকারিয়া আলফাজ, টেকনাফ    |   বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   11 বার পঠিত   |   পড়ুন মিনিটে

টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তে মাদকের দৌড় থামছেনা

# মিয়ানমার ভিত্তিক তিন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আয়ের উৎস মাদক
# মাদক পাচারে ৬০ হটস্পট উখিয়া-টেকনাফে
# উখিয়া সীমান্তে ঢুকা মাদক মজুদ হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
# জেলেদের পাচারে বাধ্য করছে নৌকার মালিকরা

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তে মাদকের ভয়াল আগ্রাসন থামছেনা। পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত বানের পানির মতো ঢুকছে ইয়াবার চালান। সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর অবস্থানের পরও সুচতুর কৌশলে এসব মাদক ঢুকে পড়ছে দেশে। পাচারে জড়িয়ে পড়েছে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। এছাড়া নাফনদ ও বঙ্গোপসাগরের নৌপথে ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে নিরীহ জেলেদের। সরকারি বাহিনীর বিভিন্ন সময়ের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারীরা আটক হলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন মুলহোতারা। এতেই সীমান্তে মাদকের অবাধ কারবার থামছেনা,এমনটি ধারণা সচেতনমহলের।

বাংলাদেশে আসা ইয়াবা ও আইসের মুল কারখান মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে। এক সময় রাজ্যটি মিয়ানমার জান্তার নিয়ন্ত্রনে ছিল। ওই বাংলাদেশে ইয়াবার সরবরাহ বাড়াতে রাখাইনে অন্তত ৩৭ টি ইয়াবা তৈরীর কারাখান ছিল। জান্তা সমর্থিত বাহিনীর সহযোগীতায় ওপারের ইয়াবার ডিলাররা নিবিঘ্নে বাংলাদেশে পাঠাতেন ইয়াবার বড় চালান। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রন সেদেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) হাতে। রাজ্যের কর্তা ও কর্তৃত্ব পরিবর্তন হলেও পরিবর্তিত কর্তা আরাকান আর্মি নিজেদের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে মাদক কারবার জিইয়ে রাখে।

মিয়ানমারের রাখাইন ভিত্তিক আরো দুটি বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী হচ্ছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। পৃথক দুই সংগঠনের রয়েছে কয়েক হাজার সশস্ত্র সদস্য। রাখাইন (আরাকান) ও বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সদস্যরা সক্রিয়। এ দুই সংগঠন নিজেদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আয়ের বড় উৎস মাদক কারবার। বিশেষ করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) অন্যতম সংগঠক নবী হোসাইনের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইয়াবা ও আইসের বড় বড় চালান ঢুকে। তাদের মাদকের পাচারের এ ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে মাঝপথে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়া রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) গত পাঁচ বছর ধরে আবারো সশস্ত্রভাবে সংগঠিত হয়েছে। তারাও নিজেদের সংগঠন পরিচালনায় অর্থ যোগানের হাতিয়ার হিসেবে বেচে নিয়েছে মাদক কারবার। এছাড়াও উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় নতুন ও পুরাতন মাদক কারবারিদের হাত ধরে আসছে ইয়াবার বড় চালান।

মাদক পাচারের ৬০ হটস্পট :
উখিয়া ও টেকনাফে মাদকের প্রবেশদ্বার হিসেবে ৬০ টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পয়েন্টের মধ্যে উখিয়ার নাফনদ ও স্থলপথ সীমান্তে সাতটি, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী আটটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদকের চালান ঢুকে। অন্যদিকে টেকনাফের নাফনদ সীমান্তে ২৬ টি ও বঙ্গোপসাগর তীরের ১৯ টি পয়েন্ট দিয়ে মাদক আসছে নিয়মিত। এসব পয়েন্ট এড়িয়ে নৌপথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, বরিশালের কুয়াকাটা দিয়েও মাদকের চালান প্রবেশ করছে। উখিয়া সীমান্তে মাদক পাচারের পয়েন্টগুলো হচ্ছে- থাইংখালী, পালংখালী, বালুখালী,আমতলী,ডিগলিয়া,পাতাবাড়ি, বঙ্গোপসাগরের ইনানি, পাথুয়ার টেক, সোনার পাড়া, রেজুখাল। টেকনাফ সীমান্তের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া, মিস্ত্রি পাড়া, নোয়াপাড়ার মগপাড়া, ঝিনা পাড়া স্লুইচ গেইট, সাইট পাড়া, আছারবনিয়া, সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া, নাজির পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া, কায়ুকখালী ঘাট, নাইট্যং পাড়া, বড়ইতলী, হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া, নেচার পার্ক, লেদা, জাদিমুড়ার জাইল্যা ঘাটা, মৌচনী, চৌধুরী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, নাটমুড়া পাড়া, মৌলভী বাজার, হোয়াইক্যং ইউনিয়নেরর খারাংখালী খারাইঙ্গা ঘোনা, উনচিপ্রাং, ঝিম্মংখালী, কাটাখালী। এ উপজেলার বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী পয়েন্ট গুলো হচ্ছে সেন্টমার্টিন, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া, ঘোলার পাড়া, মাঝের পাড়া, হারিয়াখালী, কাটাবনিয়া, হাদুরছড়া পয়েন্ট, মুন্ডার ডেইল ঘাট, টেকনাফ সদরের লম্বরী ঘাট, তুলাতলী, মিঠাপানির ছড়া, হাবিরছড়া, বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী ঘাট, শামলাপুর ঘাট, হাজমপাড়া, জাহাজপুরা, নোয়াখালী পাড়া, কচ্ছপিয়া।

পাচারে জেলেদের ব্যবহার :
মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান পাচারে সাধারণ জেলেদের ব্যবহার করে আসছে মাদক কারবারিরা। মাদক কারবারিদের অনেকেই মিয়ানমার থেকে নৌপথে নিরাপদে মাদকের চালান দেশে ঢুকাতে নিজেরাই মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার মালিক হয়েছেন। তাদের এসব নৌকা সাগরে মাছ ধরার আড়ালে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে মাদকের বড় চালান নিয়ে আসেন। এক্ষেত্রে দরিদ্র অসহায় জেলেদের বলির পাঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় অভিযানে মাদকসহ জেলেরা আটক হলেও নৌকার মালিক ও মাদকের মুলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন।

সম্প্রতি দেয়া এক বক্তব্যে বিজিবির কক্সবাজার রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহি উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশী মাছ ধরার ট্রলার গুলো মিয়ানমারের জলসীমায় যায়। সাগরপথে মাদক পাচারে বিজিবির সক্ষমতা না থাকলেও আমরা বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত দিয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীকে সহযোগীতা করে থাকি।

শাহপরীর দ্বীপের জেলে আজিজ উল্লাহ বলেন, পরিবারের আর্থিক ভরণপোষণের জন্য জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যায়। অনেক নৌকার মালিক এক্ষেত্রে সাধারণ জেলেদের ইয়াবা, আইস, স্বর্ণসহ অবৈধ মালামাল পাচারে বাধ্য করেন। এক্ষেত্রে জেলেরা অনেক সময় ওইসময় নৌকা ও ট্রলারে মাছ ধরা ছেড়ে দিতে চাইলেও মালিকদের প্রভাব বিস্তারের কারণে ছাড়তে পারেন না। মাদক ধরা পড়লে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ জেলেরা জেট খাটেন, মাদকের মুল মালিক নিরাপদে থাকেন ।

ক্যাম্পে মজুদ হচ্ছে মাদক :

মিয়ানমার সীমান্ত পার হয়ে আসা মাদকের বড় চালান গুলো গুদামজাত করা হচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। মাদক কারবারিদের কাছে ক্যাম্পই মাদক মজুদের একমাত্র নিরাপদ ডেরা। পরে সেখান থেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাইরে বড় কারবারিদের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়।

ক্যাম্পে অনুসন্ধানে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারে সীমান্ত পার করতে প্রতি পিস ইয়াবা পাঁচ টাকা, মজুদ করতে সাত টাকা নিয়ে থাকেন মধ্যবর্তী একটি কমিশন সিন্ডিকেট। ক্যাম্প ভিত্তিক এই সিন্ডিকেটের কাজ হচ্ছে, মাদকের চালানগুলো সীমান্ত পার করে এপারে নিয়ে আসা। পরে কারবারিদের সাথে শর্তে বনিবনা হলে সেগুলো প্রতিটি সাত টাকা ধরে ক্যাম্পের বিশেষ আস্তানায় মজুদ রাখা হয়। মজুদের সময় মাসের বেশি গড়ালে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। এভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে মাদকদ্রব্য মজুদের কেন্দ্র বানিয়েছে ওই সিন্ডিকেট।

বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক মোহাম্মদ মুসা বলেন, রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে বাংলাদেশের ইয়াবা কারবারিদে সম্পর্ক খুব গভীর। স্থানীয় কারবারিরা এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করছে। তারা মনে করে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা মজুদ থাকলে বাইরের চেয়ে অনেকাংশে নিরাপদ থাকবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান :
মাদকের বিরুদ্ধে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একের পর এক মাদক কারবারিরা ধরাও পড়ছে, উদ্ধার হচ্ছে মাদকের বড় চালান। গত সেপ্টেম্বর মাসে ২ বিজিবি ৩ লাখ ৪০ হাজার পিস, ১ লাখ ২০ হাজার পিস ও ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবার তিনটি বড় চালান উদ্ধার করেন। এছাড়া উখিয়া ৬৪ বিজিবি সেপ্টেম্বর মাসে দেড় লাখ, ১ লাখ ২০ হাজার, ২ লাখ ৮০ হাজার ও ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবার চারটি বড় চালান উদ্ধার করেছেন । এছাড়া বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ধারাবাহিক অভিযানে মাদক উদ্ধার ও পাচারকারী আটকের ঘটনা নিয়মিত ঘটে চলছে। এরপরও মাদকের দৌড় থেমে নেই।

টেকনাফ ২ বিজিবির তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিজিবির অভিযানে ৪৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩২২ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। এসব মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ৭০ জনকে আটক ও ৪৭ জনকে পলাতক আসামী করা হয়। উখিয়া ও টেকনাফের একাংশে দায়িত্বরত ৬৪ বিজিবি এসময়ে বেশ কয়েকটি বড় চালানসহ কয়েক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

এছাড়া কোস্টগার্ড চলতি বছরের দশ মাসে প্রায় ৩০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন। এসব অভিযান ছাড়াও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও পুলিশের অভিযানেও সীমান্তে মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। চলতি বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে টেকনাফ থানায় ৩০৮ টি মাদকের মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৩৬৫ জন আসামী আটক হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান কালেরকণ্ঠকে বলেন, সীমান্তে বিজিবি মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান ও সকল প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি এবং এক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযানে অনন্য সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া অভিযানে পলাাতক আসামীদের আটকের ব্যাপারে গোয়েন্দা তৎপরতা ও বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর কালের কণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের মাদক কারবারিদে তথ্য হালনাগাদ করা নেই। মাদক কারবারি তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। প্রকৃত অপরাধীরা এক্ষেত্রে কোনভাবে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। তালিকা হালনাগাদের পর কারবারিদের আটক করতে বড়সড় অভিযান শুরু করবে পুলিশ।

মাদক কারবারের নেতৃত্বে যারা :
উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তে মাদক কারবারে পুরনো ও নতুন কারবারিরা পুরোদমে তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। কারবারিদের অনেকে আটক হলেও জেল থেকে বের হয়ে আবারও তারা মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় থাকা টেকনাফ সীমান্তে মাদক কারবারিদের মধ্যে রয়েছেন সদর ইউনিয়নের ফরিদ আলম, একরাম, আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আবছার, মো. রফিক, কাদের হোসেন ওরফে পাগলা কাদের, শাকের, রিদুয়ান, ফারুক, রাসেল, আলী আহমদ, আনোয়ার হোসেন, কালাইয়া, ইসলাম, নুরুল কবির, আব্দুল গফুর, আব্দুল আমিন প্রকাশ সাতমাইস্যা, জাকের, মো. তৈয়ুব ওরফে মধু তৈয়ুব, দিদার, শামসুল আলম ওরফে কালা বাম্বু, বাদশা মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, শাহাদাত কবির, হাসান আব্দুল্লাহ, সাবরাং ইউনিয়নের কামাল হোসেন, আব্দুল গফুর, মো. ইউনুস সিকদার, মো. রাসেল, হারুন, জসিম উদ্দীন, মো. জুবায়ের, নুরুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, সোলেমান বাদশা, মো. ফারুক, রবিউল আলম রবু, মো. তোফায়েল, আবুল ফয়াজ, আব্দুল মান্নান, হেলাল উদ্দীন, টেকনাফ পৌরসভার সৈয়দ আলম প্রকাশ লাল কিয়ায়া,মোহাম্মুদুল হক (প্রকাশ বগ্গু), দেলোয়ার হোসেন, নুরুল কায়েছ, ইসলামাবাদ বর্মায়া জিয়াবুল, রিয়াজ উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ, নেজাম উদ্দীন, মনছুর, হ্নীলা ইউনিয়নের রেজাউল করিম, হারুন, সাইফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ননাইয়া, শাহ আজম, আবু তালেব, আব্দুর রহমানের নুর,জাফর আলম, মোহাম্মদ রফিক (প্রকাশ লালু), মাজেদ, জুহুরুল আলম, সেলিম, হামিদ হোসেন, শামসুল আলমের ছেলে ইউনুস,আবছার, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রোহিঙ্গা নবী হোসেন গ্রুপের ডিলার চার বাবুল, মো. ফয়সাল, মো. আমিন, আব্দুল মান্নান।
এদিকে উখিয়ার মাদক কারবারিদের মধ্যে রয়েছে পালংখালীর ইউনিয়নের মনির হোসেন, মনজুর আলম, জাফরুল ইসলাম (বাবুল), সোলতান আহমদ, সৈয়দুল বশার, বালুখালীর ছোটন, ফরিদ আহমদ, মিজানুর রহমান, বখতিয়ার, হলদিয়া পালংয়ের সোনা আলম, টিটু, মরিচ্যার তাজ উদ্দীন, কুতুপালংয়ের মামুন, থাইংখালীর মামুনুর রশিদ, রত্মাপালংয়ের নুরুল আমিন, ঘুমধুম সীমান্তের জয়নাল আবেদীন, কালা মিজান, নুর হোসেনসহ অন্তরালে থাকা আরো ৫০ কারবারি।

টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, উখিয়া ও টেকনাফ কে মাদকের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে হবে। এক্ষেত্রে দুই উপজেলার স্থানীয় যুবকদের কারিগরি ও দক্ষতাবৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। স্থানীয়ভাবে বৈধভাবে আয়ের খাতগুলো সচল রাখতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার। এছাড়া এর বাইরে যারা মাদক কারবার ছাড়তে রাজি নয়, তাদের কঠোরভাবে আইনী প্রক্রিয়ায় শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

ডিবিএন/জেইউ। 

Facebook Comments Box

Comments

comments

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

প্রকাশক
তাহা ইয়াহিয়া
সম্পাদক
মোঃ আয়ুবুল ইসলাম

যোগাযোগ

প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত এবং দেশবিদেশ অফসেট প্রিন্টার্স, শহীদ সরণী (শহীদ মিনারের বিপরীতে) কক্সবাজার থেকে মুদ্রিত

মোবাইল : ০৩৪১-৬৪১৮৮। বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন 01870-646060

ই-মেইল: ajkerdeshbidesh@yahoo.com