টেকনাফ সংবাদদাতা | রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮
টেকনাফে বেসরকারী খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা নাফ সোলার টেক পাওয়ার প্লান্ট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় জনসাধারণের বিপূল পরিমাণ জমি ভাড়ার নামে লুটপাটের পায়তারা চালাচ্ছে বলে স্থানীয় জমি মালিকদের একাংশ অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় জমির মালিকেরা জানান, নাফ সোলার টেক পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় একটি প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় উপজেলার দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার আলীখালী সংলগ্ন প্রধান সড়কের পূর্বপাশের্^ এই প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় কৃষক ও লবণ চাষীদের নিকট হতে এই প্রকল্পের জন্য ১শ ১৬ একর জমি বাচাই করে বাৎসরিক ভাড়ার মাধ্যমে এই সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের সীমানা বাউন্ডারী নির্ধারণ করে প্রকল্পের কার্য্যক্রম শুরু করে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ে চলে আসে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সংযুক্তির অপেক্ষায় থাকলেও ১৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এখনো ৪৫ কানি জমি লাগিয়তের প্রায় ২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবী করেছেন।
এদিকে উত্তর আলীখালীর বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদের ২একর, ঢাকার আব্দুল আজিজ মোল্লার পুত্র আবুল হোসেন ৪০ শতক, নাজির হোছনের পুত্র এজাহার মিয়া ১৪ শতক, মৃত নাজির হোছনের পুত্র নুরুল হক ১ একর, মৌঃ মোঃ হোছনের পুত্র মৌঃ কামাল হোছন গং ২ একর, কালা মিয়ার পুত্র মৃত কবির আহমদের ওয়ারিশ গং ৫০ শতক, আবুল খায়েরের পুত্র আহমদ হোছন ৪০ শতক, আব্দুল শুক্কুরের পুত্র নুর হোছন ৮০ শতক, আবুল হাসেমের পুত্র উম্মত আলী ৪০ শতক, আব্দুস সাত্তারের পুত্র হাজী আব্দুল করিম ৪০ শতক, জবুল হোছনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন ২০ শতক, সিরাজ বৈদ্যের স্ত্রী জায়না বেগম ১ একর ৬০ শতক, হোছন আলীর পুত্র আবুল হাশেম ৪২ শতক, হ্নীলা সিকদার পাড়ার মরহুম আশ্রাফ আলীর পুত্র শব্বির আহমদ ১ একর ৬০ শতক, পানখালীর মরহুম মাষ্টার আমির আলীর পুত্র ও হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এইচকে আনোয়ার ৭ একর ২০ শতকসহ মোট ৫০ কানি জমির ভাড়া প্রায় ২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবী করেন। জমির লাগিয়ত বা ভাড়ার মূল্য এখনো পায়নি বলে জানান। এই বিষয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও মধ্যস্থতাকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কারো দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। ভূক্তভোগী এসব জমির মালিকেরা তাদের জমি ভাড়া আদায়ে টেকনাফের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় এসব জমির মালিকেরা আন্দোলনের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হবে বলে জানান।
এই ব্যাপারে হ্নীলা আলীখালী বায়তুল ইজ্জত জামে মসজিদের সভাপতি মাষ্টার জাফর আলম জানান, দুই একর জমি লাগিয়তের টাকা এখনো। তিনি আরো বলেন, তাদের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আল্লাহর ঘর মসজিদের টাকা পায়নি।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান এইচ.কে.আনোয়ার জানান, আমিসহ বেশ কিছু জমি মালিক ভাড়ার টাকা এখনো পায়নি। প্রকল্পের লোকজন ভাড়ার টাকা দিবে বলে পুরোটাই লুটপাট করার জন্য পায়তারা করছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা জানান,সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে জমি মালিকদের পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তিনি আরো জানান, জমি মালিকদের ভাড়ার টাকা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।
টেকনাফ সোলার টেক পাওয়ার প্লান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগের জন্য একাধিক বার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করা কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Posted ১:২১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh