টেকনাফ উত্তর সংবাদদাতা | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
টেকনাফ সদর চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের ব্যবহৃত গাড়ীতে ১৩ হাজার ৯৬০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব। আটককৃতরা হচ্ছে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চালক পুরাতন পল্লানপাড়ার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রহমত উল্লাহ ও আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ ইব্রাহীম।
জানা গেছে, ১৯ অক্টোবর ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন শুকনারছড়ি সাকিনস্থ হ্যাচারির সামনে মেরিন ড্রাইভ পাকা রাস্তা দিয়ে সাদা রংয়ের টয়েটো জীপ যাহার রেজি নং-ঢাকা মেট্রো-ক-০২-০৫৬৪ যোগে টেকনাফ হতে কক্সবাজার এলাকার দিকে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছে।
এ সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করে হাতেনাতে ধৃত করে।। ধৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে, তাদের ব্যবহৃত জীপ গাড়ীর ইয়ার ক্লিনার এর মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট নামীয় মাদকদ্রব্য রহিয়াছে। তারা আরও স্বীকার করে যে,উক্ত ইয়াব ট্যাবলেট পলাতক আসামী ৩। মোঃ হাসেম (৪০), ৪। সৈয়দ আলম (৩০) ও ৫। মোঃ ফারুক (৩০) এবং দুইজন অজ্ঞাত দের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজার এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসছে।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদে সম্মুখে আসামীদ্বয়দের ব্যবহৃত গাড়ী তল্লাশী করে ইয়ার ক্লিনার এর মধ্যে বিশেষ কৌশলে রাখা অবস্থায় সর্বমোট তের হাজার নয়শত ষাট পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলে ঊন সত্তর লক্ষ আশি হাজার টাকা।
গ্রফতারকৃত আসামী, উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোঃ মেহেদী হাসান।
জানা গেছে, এ দামী গাড়িটি টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের ব্যক্তিগত। চেয়ারম্যান গাড়িটি নিয়ে গত ২ অক্টোবর সাবরাং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে বিজয়ী মেম্বার আক্তার কামালের পক্ষে কাজ করেন। এছাড়া প্রায়শ তিনি গাড়ীটি ব্যবহার করে থাকেন। প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারির তালিকায় অন্যতম হচ্ছেন টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান।
Posted ১:২৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৮
dbncox.com | ajker deshbidesh